
নিষেধাজ্ঞার পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে রাশিয়া অনলাইন আক্রমণকে বেছে নিলে সাইবার হামলার ঝুঁকিতে পড়বে কানাডার কোম্পানিগুলো। টেক্সাসভিত্তিক সাইবার ইন্টেলিজেন্স ফার্ম প্রিভ্যালিয়নের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) করিম হিজাজি শুক্রবার এ মন্তব্য করেন।
করিম হিজাজি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলার চেষ্টাকারী দুষ্টু লোকদের শিকার হতে পারে কানাডিয়ান কোম্পানিগুলো। এমনটা ঘটার কারণ সরকার, গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ও বেসরকারি খাত একে অপরের সঙ্গে খুব বেশি সম্পর্কিত এবং সহজেই প্রবেশযোগ্য। এই সংযোগকে কাজে লাগিয়ে হামলাকারীরা কাক্সিক্ষত জায়গায় চলে যেতে সমর্থ হবে। রাশিয়া যে ম্যালওয়্যার সক্রিয় করতে পারে সেটি কানাডায় এরইমধ্যে রয়েছে।
কমিউনিকেশন্স সিকিউরিটি এস্টাবলিশমেন্টের (সিএসই) একজন মুখপাত্র ইমেইল বার্তায় বলেন, আর্থিক, জ¦ালানি ও টেলিযোগাযোগ খাত লক্ষ্য করে সাইবার হুমকির ওপর নজর রাখছে সরকারি সংস্থাটি। কানাডার সব গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো খাতকে বর্ধিত সাইবার ঝুঁকির দিকে নজর রাখার আহ্বান জানিয়েছে সিএসই।
কানাডার অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে সতর্কতা অবলম্বন করেছে এবং রাশিয়ার সম্ভাব্য সাইবার হুমকির বিরুদ্ধে প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন কানাডিয়ান সাইবার থ্রেট এক্সচেঞ্জের (সিসিটিএক্স) স্ট্র্যাটেজিক অ্যাডভাইজার বব গর্ডন। তিনি বলেন, জানুয়ারি থেকেই আমাদের সদস্যদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনা করছি। সে সময়ই সাইবার হামলার যথেষ্ট ইঙ্গিত বিদ্যমান ছিল।
কোভিড-১৯ মহামারির কারণে অনলাইনে সামাজিক কর্মকা- বৃদ্ধি পেলে সাইবার হামলাও বেড়ে যায়। ২০২১ সালের মে মাসে র্যানসামওয়্যার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কলোনিয়াল পাইপলাইন কোম্পানিকে বিপর্যস্ত করে তোলে। অতি সম্প্রতি কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ড ও ল্যাব্রাডরের স্বাস্থ্যসেবা নেটওয়ার্ক এবং টরন্টোর ট্রানজিট কমিশনও সাইবার হামলার শিকার হয়।
এ ধরনের হামলা মোকাবেলা ও প্রতিহত করার ব্যাপারে কানাডার সক্ষমতা নিয়ে উদ্বেগও বাড়ছে। যদিও কোম্পানিগুলো সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে। গত গ্রীষ্মে কানাডিয়ান ইন্টারনেট রেজিস্ট্রেশন অথরিটি পরিচালিত এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, সাইবার নিরাপত্তায় বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ খুব দ্রুত বাড়ছে না।
গত মে মাসে ফেডারেল সরকার সাইবার সিকিউরিটি ইনোভেশন কর্মসূচি চালু করে। চার বছর মেয়াদী এ কর্মসূচিতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ কোটি ডলার।