
নতুন করে কোভিড-১৯ বিধিনিষেধ বা ভ্যাকসিন পাসপোর্টের ধারণার কড়া বিরোধিতা করেছেন অন্টারিওর প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ড। তার ভাষায়, জনগণ এই মহামারির ভয় কাটিয়ে উঠেছে। সেই সঙ্গে তৃতীয় ডোজের কার্যকারিতার ব্যাপারে তার সন্দেহ ও ভ্যাকসিনেশনের কারণে তার নিজের পরিবারে ভ্যাকসিনেশন নিয়ে যে মতভিন্নতা সে ইঙ্গিতই দিয়েছেন তিনি।
প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ড ও চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. কিয়েরান মুর ১ মার্চ থেকে অধিকাংশ ইনডোর স্থাপনায় ধারণক্ষমতার সীমা ও ভ্যাকসিন পাসপোর্ট ব্যবস্থা বাতিলের ঘোষণা দেন। মঙ্গলবার ডগ ফোর্ড বলেন, আমরা ভয় কাটিয়ে উঠেছি। এখন চলুন সতর্কতার সঙ্গে এগিয়ে যাই। বিশ^ও মহামারির ভয় কাটিয়ে উঠেছে। চলুন সামনের দিকে এগোই। আমাদের শুধু সতর্ক থাকতে হবে। হাত ধোয়া নিশ্চিত করতে হবে এবং সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
আরও ভ্যাকসিন ডোজের মূল্য খুব কম বলেই মনে করেন তিনি। এক্ষেত্রে তিনি বলেন, তৃতীয় ডোজ ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে লৌহকঠিন সুরক্ষা দেয় না। আপনি এক ডোজ নিন আর ১০ ডোজ নিন এর মধ্যে যে কোনো পার্থক্য নেই এটাও আমরা জানি। এরপরও আপনারা কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো তিন ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছে। আমি নিজেও কয়েকশ মানুষকে চিনি যারা তিন ডোজ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নিয়েছেন। তারপরও তারা কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন।
আমাদের শুধু সতর্ক থাকতে হবে। হাত ধোয়া নিশ্চিত করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।এদিকে অন্টারিওর কোভিড-১৯ সায়েন্স অ্যাডভাইজরি টেবিলের ধারণা অনুযায়ী, তৃতীয় উপসর্গযুক্ত কোভিড-১৯ থেকে ৬০ শতাংশ বেশি সুরক্ষা দেয়। গত ৬০ দিনে অন্টারিওতে ভ্যাকসিনেশনের হার ৭৫ শতাংশে নেমে এসেছে। এর আগে প্রতিদিনর সর্বোচ্চ ২ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল।
প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে ৪৮ শতাংশ এখন পর্যন্ত তৃতীয় ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছেন। ইউনিভার্সিটি হেলথ নেটওয়ার্কের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. আইজ্যাক বোগোশ বলেন, দুই ডোজের যে ভ্যাকসিন পাসপোর্ট চালু আছে তা যথেষ্ট নয়। হয় আপনি তিন ডোজের দিকে যাবে না হয় তা বাতিল করবেন।
অন্টারিওতে কয়েক লাখ মানুষের সম্প্রতি ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, এর অর্থ হচ্ছে তাদের শরীরে বাড়তি ইমিউনিটি তৈরি হয়েছে এবং তাদেরকে তিন মাসের আগে তৃতীয় ডোজ না নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এটা ভ্যাকসিন পাসপোর্ট ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা কঠিন করে তুলছে।