
২০১৭ সালে একজন কৃষ্ণাঙ্গকে বর্ণবাদের ভিত্তিতে দেখায় মন্ট্রিয়ল পুলিশের দুই কর্মকর্তাকে ৩০ দিনের জন্য বরখাস্ত করেছে এথিকস কমিশন। একে তাৎপর্যপূর্ণ বললেও যথেষ্ট মনে করছেন না ওই ব্যক্তি।
শাস্তিটা আরও কঠোর হওয়া উচিত ছিল বলে জানান ৫৯ বছর বয়সী ইরোল বার্ক। এ ঘটনায় পিয়েরে অগার এবং জাঁ-ফিলিপে থিওরেটকে গত অক্টোবরে দোষী সাব্যস্ত করে এথিকস কমিশন।
স্থানীয় মানবাধিকার সংস্থা সেন্টার ফর রিসার্চ-অ্যাকশন অন রেস রিলেশন্স আয়োজিত এক ভাচুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বার্ক বৃহস্পতিবার বলেন, নির্দোষ জনগণের প্রতি পুলিশের এ ধরনের উদ্ধত আচরণ বন্ধেল জন্য আরও কঠোর শাস্তির প্রয়োজন ছিল।
সংস্থা্িটর নির্বাহী পরিচালক ফো নিয়েমি বলেন, বর্ণবাদী আচরণের দায়ে এথিকস ট্রাইব্যুনাল আরোপিত ৩০ দিনের বরখান্তের আদেশ কঠোর শাস্তি। তবে আদেশের বিরুদ্ধে আপিলের সুযোগ রয়েছে। বর্ণবাদী আচরণের বিরুদ্ধে এই প্রথম আমরা এ ধরনের কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে দেখলাম।
এথিকস কমিশনের কড়া ভাষার কথা উল্লেখ করে নিয়েমি বলেন, বর্ণবাদী আচরণ এখন সংখ্যালঘুদের ক্ষেত্রে নিত্য বাস্তবতা এবং এর ফলে হেনস্থা ও ট্রমার পাশাপাশি পুলিশ ও কর্তৃপক্ষেল ওপর অবিশ্বাস তৈরি হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বার্ক ২০১৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি তার বাইসাইকেলে চেপে দুধ কিনতে স্থানীয় একটি কনভিনিয়েন্স স্টোরে যাচ্ছিলেন। পথে পুলিশ কর্মকর্তারা অস্ত্রের মুখে তাকে থামান। ঘটনাটি ঘটে নগরীর কোট-ডেস-নেইজেস-নটর-ডি-গ্রেস। মাটিতে ফেলে হাতকড়া দেওয়া ও তল্লাশির আগে তাকে স্টোরে দরজার সঙ্গে চেপে ধরা হয়। বার্কের ওপর এই নিপীড়ন চালানোর পর পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের ভুল বুঝতে পারেন। প্রকৃতপক্ষে তারা ১৮ বছর বয়সী এক কৃষ্ণাঙ্গ তরুণকে খুঁজছিলেন। কোনো ধরনের ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই পুলিশ পরে তাকে ছেড়ে দেয়।