
অন্টারিওতে বেসরকারি কোম্পানিকে ভ্যাকসিন ক্লিনিক পরিচালনার অনুমোদন দেওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছে সরকার। কারণ, কোম্পানির পর্ষদ সদস্যরা ক্ষমতাসীন প্রোগ্রেসিভ কনজার্ভেটিভ পার্টিকে অনুদান দিয়েছিলেন। অডিটর জেনারেলকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছে বিরোধীরা।
এফএইচ হেলথ নামে একটি বেসরকারি কোম্পানিকে গ্রেটার টরন্টো অ্যান্ড হ্যামিল্টন এরিয়াতে ১০টি ভ্যাকসিন ক্লিনিক পরিচালনার অনুমোদন সংক্রান্ত চুক্তির কথা এ মাসের গোড়ার দিকে ঘোষণা করে সরকার। কোম্পানির পর্ষদ সদস্যদের অনুদানের বিষয়টি ইলেকশন্স অন্টারিওর ঘোষণাতেই আছে এবং কুইন’স পার্ক টুডে এ নিয়ে প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
ইলেকশন্স অন্টারিওর নথি অনুযায়ী, এফএইচের প্রেসিডেন্ট মেলোডি আধামি-দোররানি ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে প্রোগ্রেসিভ কনজার্ভেটিভ পার্টিকে দুই দফায় অনুদান দেন, যার পরিমাণ ৩ হাজার ৩০০ ডলার। একই মাসে কোম্পানির আরও দুই পরিচালকও ৩ হাজার ৩০০ ডলার অনুদান দেন। এছাড়া চুক্তি হওয়ার কয়েক মাস আগে গত সেপ্টেম্বরে এফএইচ বোর্ডের আরেক সদস্য অন্টারিও প্রোগ্রেসিভ কনজার্ভেটিভ পার্টিকে ১৩ হাজার ২০০ ডলার অনুদান দেন।
কুইন’স পার্ক টুডেকে কোম্পানির পক্ষ থেকে বলা হয়, কোম্পানির তরফ থেকে কাউকেই অনুদান দিতে বলা হয়নি। তবে বেশ কয়েক বছর ধরে অন্টারিও লিবারেল পার্টিকেও অনুদান দিয়ে আসছেন এফএইচের পর্ষদ সদস্যরা।
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে এফএইচ হেলথের সঙ্গে সিপি২৪এর পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলেও তারা কোনো মন্তব্য করেনি।
এফএইচ হেলথ গত ৯ জানুয়ারি ঘোষণা দেয়, সরকারের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ব্র্যাম্পটন, হ্যামিল্টন, মিসিসোগা, ওকভিল, পিকারিং, রিচমন্ড হিল ও টরন্টোতে ১০টি ক্লিনিকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। তবে বেসরকারি কোম্পানিকে ভ্যাকসিন ক্লিনিকব পরিচালনার অনুমোদন দেওয়ায় এর সমালোচনা করেন বেশ কয়েকজন চিকিৎসক। সুযোগ দিলে আরও বেশি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব বলে সে সময় জানান কেউ কেউ।
এদিকে এ ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে অন্টারিও অডিটর জেনারেল বনি লিসিককে বুধবার চিঠি লিখেছেন এনডিপি এমপিপি তারাস নাটিশ্যাক। চিঠিতে তিনি চুক্তিটি খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন।