কানাডার সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ওঠা যৌন হেনস্থার অভিযোগ নিয়ে হাউজ অব কমন্সের তদন্ত কমিটির সামনে সাক্ষ্য দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর চিফ অব স্টাফ কেটি টেলফোর্ড। কমিটির শুক্রবারের বৈঠকে সাক্ষ্য দেওয়ার আগ্রহ ব্যক্ত করে চিঠি লেখেন তিনি।
জেনারেল জোনাথন ভেন্সের বিরুদ্ধে ওঠা যৌন হেনস্থার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অবগত ছিল না বলে জাস্টিন ট্রুডো যে বক্তব্য দিয়েছেন এবং অন্যন্য সাক্ষ্য ও ইমেইল যে তথ্য দিচ্ছে টেলফোর্ডের কাছ থেকে সে সম্পর্কে ব্যাখ্যা দাবি করেছে বিরোধীদল। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ইল্ডার মার্কেস দুই সপ্তাহ আগেই এ ব্যাপারে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
মার্কেস বলেন, তৎকালীন চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল জোনাথন ভেন্সের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত অসদাচরণের অভিযোগের বিষয়টি ২০১৮ সালে তিনি টেলফোর্ড অথবা তার সহকারীর কাছ থেকে অবগত হয়েছিলেন। সে সময়ই তার মনে হয়েছিল এটি যৌন অসদাচরণ হবে। কালবিলম্ব না করে তিনি বিষয়টি পিভি কাউন্সিলের করণিক বরাবর পাঠিয়ে দেন।
একদিন আগেই অভিযোগটি প্রতিরক্ষামন্ত্রী হারজিৎ সজ্জনের কাছে উত্থাপন করেন তৎকালীন সামরিক ন্যায়পাল গ্যারি ওয়ালবোর্ন। সাবেক ক্লার্ক মাইকেল ওয়ারনিক তার সাক্ষ্যে দাবি করেন সে সময়ই তার অফিস অভিযোগটি তদন্তের উদ্যোগ নেয়। তবে অভিযোগকারী নাম প্রকাশে রাজি না হওয়ায় ওয়ালবোর্ন আর এ সম্পর্কে আর কোনো তথ্য সরবরাহে ব্যর্থ হন।
জোনাথন ভেন্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ, চিফ অব ডিফেন্স পদে নিয়োগ পাওয়ার আগে ২০১২ সালে জুনিয়র এক কর্মকর্তাকে অশোভন ইমেইল পাঠান তিনি। মিলিটারি পুলিশ বর্তমানে অভিযোগটি তদন্ত করে দেখছে। অধস্তন এক কর্মকর্তার সঙ্গে ভেন্সের যৌন সম্পর্কের অভিযোগও তদন্ত করে দেখছে মিলিটারি পুলিশ। যদিও জোনাথন ভেন্স তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এদিকে মার্কেস সাক্ষ্য দেওয়ার কনজার্ভেটিভ পার্টি ট্রুডোর বিরুদ্ধে নতুন করে তোপ দেগেছে। টেলফোর্ডের বিরুদ্ধেও বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। টেলফোর্ডকে অপসারণের দাবিতে সংসদে একটি প্রস্তাবও আনে কনজার্ভেটিভ পার্টি। যদিও সেটি বাতিল হয়ে গেছে।
উল্লেখ্য, জেনারেল জোনাথন ভেন্স গত জানুয়ারিতে চিফ অব ডিফেন্স স্টাফের পদ থেকে সরে দাঁড়ান। গত মাসে তিনি সামরিক বাহিনী থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবসর নেন।