মঙ্গলবার, মার্চ ১৯, ২০২৪
-0.9 C
Toronto

Latest Posts

অন্য ডোজও নিতে পারবেন অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন গ্রহীতারা

- Advertisement -

অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন গ্রহীতারা দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে চাইলে অন্য ভ্যাকসিনও নিতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন কানাডার প্রধান জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তেরেসা ট্যাম। স্পেনের ছোট একটি গবেষণার ফলাফল প্রকাশের কয়েক ঘণ্টা পর এ মন্তব্য করলেন তিনি। গবেষণাটির ফলাফলে বলা হয়েছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের পর দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন নিলেও তা নিরাপদ। পাশাপাশি অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজের দ্বিগুন অ্যান্টিবডি তৈরি করে এটি।

- Advertisement -

তবে যুক্তরাজ্যে চলমান আরেকটি গবেষণার ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করছে ন্যাশনাল অ্যাডভাইজরি কমিটি অন ইমিউনাইজেশন (এনএসিআই)। যদিও অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন গ্রহীতাদের দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের সময় হওয়ার আগেই সুপারিশ প্রস্তুত করা উচিত বলে মনে করেন ডা. তেরেসা ট্যাম।

অটোয়াতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, যেসব কানাডিয়ান অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে সম্ভবত তারা অন্য ডোজও নিতে পারবেন। অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন নেওয়ার পর পাশর্^প্রতিক্রিয়া হিসেবে ২১ জনের থ্রম্বোটিক থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া বা ভিআইটিটি সনাক্ত হয়েছে। এ ধরনের আরও ১৩টি ঘটনা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। এছাড়া তিনজন নারী মারাও গেছেন।

এনএসিআই গত মাসে তাদের সুপারিশে বলে, কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের ঝুঁকি কম এমন ব্যক্তিদের ফাইজার অথবা মডার্নার ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত। এর ফলে অ্যাস্ট্রাজেনেকার আরেকটি ডোজ নিয়ে ঝুঁকিতে পড়বেন কিনা অনেকের মধ্যেই সেই ধারণা জন্মেছে। তবে তেরেসা ট্যাম ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্যাাটি হাইডু দুজনেই বলেছেন, অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন গ্রহীতাদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ অন্য ভ্যাকসিন থাকবে।

মঙ্গলবার পর্যন্ত অন্তত এক ডোজ ভ্যাকসিন পেয়েছেন ১ কোটি ৭৬ লাখ কানাডিয়ান, ১২ বছরের বেশি বয়সী নাগরিকদের যা ৫৫ শতাংশ। তবে দুই ডোজের ভ্যাকসিনই পেয়েছেন ১৫ লাখ কানাডিয়ান, ১২ বছরের বেশি বয়সী জনসংখ্যার যা ৪ দশমিক ৫ শতাংশ। তবে অনেক প্রদেশই ভ্যাকসিনেশনের জাতীয় নীতিমালা অনুসরণ করছে না।

এদিকে মঙ্গলবার সকালেই ২৫ হাজার মৃত্যুর অনাকাক্সিক্ষত মাইলফলক স্পর্শ করেছে কানাডা। তবে গত সপ্তাহে দৈনিক মৃত্যু ৪৯ থেকে ৪৩ জনে নেমে এসেছে। দৈনিক সংক্রমণও ৭ হাজার ২৭৫ থেকে নেমে এসেছে ৫ হাজার ৬০০ জনে। আগে দৈনিক ৪ হাজার রোগী হাসপাতালে ভর্তি হলেও এখন তা ৩ হাজার ৬০০ জনে নেমে এসেছে। হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তি রোগীও ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৩০০তে নেমে এসেছে। যদিও এসব সংখ্যাকে এখনও স্বস্তিদায়ক মনে করছেন না ডা. তেরেসা ট্যাম।

- Advertisement -

Latest Posts

Don't Miss

Stay in touch

To be updated with all the latest news, offers and special announcements.