
অন্টারিওর পূর্ণকালীন ও খন্ডকালীন কর্মীদের কেউ কোভিড-১৯ এর কারণে অসুস্থ হলে সর্বোচ্চ তিন দিন সবেতন ছুটি ভোগ করতে পারবেন। সাময়িক এক প্রাদেশিক কর্মসূচির আওতায় এ সুবিধা ঘোষণা করেছে ফোর্ড সরকার, সেপ্টেম্বরের শেষ পর্যন্ত যা চালু থাকবে।
অন্টারিও সরকার সংসদে এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব আনতে যাচ্ছে। প্রস্তাবটি পাস হলে কোনো প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে ছুটিতে গেলে এর বিপরীতে সর্বোচ্চ তিন দিনের বেতন দিতে বাধ্য থাকবেন নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান। এজন্য প্রত্যেক কর্মীকে দৈনিক ২০০ ডলার হারে নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানকে সরকার অর্থ পরিশোধ করবে বলে জানিয়েছেন শ্রমমন্ত্রী মন্টে ম্যাকনটন।
ওয়ার্কফোর্স সেফটি অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বোর্ডের (ডব্লিউএসআইবি) মাধ্যমে ওয়ার্কার ইনকাম প্রোটেকশন বেনিফিট প্রোগ্রামটি বাস্তবায়ন করে হবে, যা চলবে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ফেডারেল সরকারের কানাডা রিকভারি অ্যান্ড সিকনেস বেনিফিট (সিআরএসবি) প্রোগ্রামটির মেয়াদও একই দিনে শেষ হবে।
১৯ এপ্রিল থেকে কর্মসূচিটি কার্যকর ধরা হবে। অন্টারিওর শ্রমমন্ত্রী মন্টে ম্যাকনটন বলেন, কর্মসূচিটির অর্থ হলো কোনো ওয়্যারহাউজ কর্মীকে যদি নিভৃতবাসে যেতে বলা হয় তাহলে তার বেতন না পাওয়ার কোনো ভয় থাকবে না। আবার কোনো মুদি দোকানের কর্মীকে যদি ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য সময় নিতে হয় তার জন্যও তার বেতন কাটা যাবে না।
সিআরএসবির অর্থের জন্য যেসব কর্মী অপেক্ষা করে আছেন নতুন এ কর্মসূচিটি তাদের সঙ্গে একটি সেতুবন্ধ তৈরি করবে। তবে অর্থ পেতে নানা প্রতিবন্ধকতার ঝক্কি পোহাতে হয় বলে অভিযোগ করেন সমালোচকরা। তাদের অভিযোগ, অর্থের জন্য আবেদন করার পর তা অনুমোদন পেতে বেশ কয়েকদিন লেগে যায়।
শ্রমমন্ত্রী বলেন, সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকা অত্যাবশ্যকীয় কর্মীদের জন্য কর্মসূচিটি উন্নত করতে সিআরএসবির অর্থ ৫০০ থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ডলার করতে ফেডারেল সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছে ফোর্ড সরকার। তবে এ প্রস্তাবে ফেডারেল সরকার সায় দেবে কিনা সেটা এখনও নিশ্চিত নয়।
ফোর্ড সরকার বেতনসহ অসুস্থতাজনিত ছুটির কর্মসূচিটি ঘোষণার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে কোভিড-১৯ মহামারির কালে এর সুফল কী হতে পারে সেই বয়ান হাজির করে অন্টারিওর সায়েন্স অ্যাডভাইজরি টেবিল। তাদের মতে, অসুস্থতাজনিত সবেতন ছুটি অত্যাবশীয় কর্মীদের জনস্বাস্থ্য প্রটোকল সঠিকভাবে পরিপালনে সহায়তা করবে এবং এর ফলে সংক্রমণ হ্রাস পাবে। ভ্যাকসিনেশন পুরোদমে চলতে থাকায় পুনরায় ব্যাপকহারে সংক্রমণ প্রতিরোধেও ভূমিকা রাখবে কর্মসূচিটি। ফেডারেল সরকারের এ-সংক্রান্ত কর্মসূচি অত্যাবশ্যকীয় কর্মীদের পুরোপুরি আর্থিক সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ বলেও মত দিয়েছে সায়েন্স টেবিল।