
এডমন্টনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় একটি বাড়িতে উড়েছে নাৎসি পতাকা…ছবি/আরসিএমপি
এডমন্টনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় একটি বাড়িতে নাৎসি পতাকা উড্ডয়নের ব্যাপারে আলবার্টার রয়্যাল মাউন্টেড কানাডিয়ান পুলিশের কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানানো হয়েছে। বয়েলের দক্ষিণে হাইওয়ে ৮৩১ এলাকার একটি গ্রামীণ বাড়িতে পতাকাটি উড়তে দেখা যায়।
পলিসি ফর ফ্রেন্ডস অব সিমোন ওয়াইজেন্থাল সেন্টার ফর হলোকস্ট স্টাডিজের (এফএসডব্লিউসি) পরিচালক জেইম কার্জনার-রবার্টস বলেন, ইহুদিদের জন্য স্বস্তিকা আতঙ্ক ও গণহত্যার প্রতীক। স্বস্তিকার মতো আর কোনো প্রতীকই আমাদের কাছে এতোটা অন্ধকার ও ভয়ার্ত নয়।
নাৎসি পার্টির পতাকা লাল রঙের। এর সাদা বৃত্তের মধ্যে রয়েছে কালো রঙের স্বস্তিকা। পরিমার্জিত যে হিটলার ইয়ুথ পতাকাটি উড্ডয়ন করা হয় সেটিতে ছিল মাঝ বরাবর আনুভূমিক রেখা এবং সরু কিনারের চারপাশে বর্ণবাদের বৈশ্বিক স্বীকৃত প্রতীক।
দ্য হিটলার ইয়ুথ ছিল জার্মানির নাৎসি পার্টির অধীনে ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সী তরুণদের নিয়ে গঠিত আদর্শিক সংগঠন। বয় স্কাউটের অনেক কার্যক্রমের অধীনে পরিচালিত হতো। ভবিষ্যৎ সেনাবাহিনীর জন্য তাদের সামরিক প্রশিক্ষণও দেওয়া হতো এবং তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বর্ণবাদী মতবাদ ছড়িয়ে দিতে কাজ করতো তারা।
নাৎসি পতাকা উড্ডয়নের খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করে কার্জনার-রবার্টস বলেন, সংবাদটি পাওয়ার পর প্রথমেই আমি এর সত্যতা যাচাইয়ের উদ্যোগ নিই। এজন্য আমি রয়েল আরসিএমপির সঙ্গে যোগাযোগ করি। তারপর তারা এটা নাৎসি পতাকাই ছিল বলে আমাকে নিশ্চিত করে।
বিষয়টির তদন্ত হয়েছে কিনা জানতে চাইলে ‘না’ সূচক উত্তর দেয় আরসিএমপি। যুক্তি হিসেবে তারা আনুষ্ঠানিক অভিযোগ না পাওয়ার কথা জানায়। পরে কার্জনার-রবার্টস এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি বলেন, ঘৃণা ছাড়ানোর উদ্দেশেই যে নাৎসি পতাকা উড্ডয়ন করা হয়েছে সে ব্যাপারে আমাদের অবস্থান পরিস্কার। যেকোনো ধরনের ঘৃণা ছড়ানো কানাডার ফৌজদারি আইনে অবৈধ। তাই ঘৃণা ছড়ানোর উদ্দেশেই যে এটা করা হয়েছে সেটা তদন্ত করতে আরসিএমপির প্রতি আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।
যে বাড়িতে নাৎসি পতাকা উড়ানো হয়েছে সেটির অবস্থান আথাবাস্কা কাউন্টিতে। আথাবাস্কা কাউন্সিল ও প্রশাসন এ ব্যাপারে অবগত আছে। এ ধরনের প্রদর্শন ও বার্তার কোনো স্থান আথাবাস্কা কাউন্টিতে নেই বলে জানিয়েছে তারা। সেই সঙ্গে বিষয়টি আরসিএমপিতে পাঠিয়ে দেওয়ার কথাও জানানো হয়েছে। কর্মকর্তারা বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে বাড়ির মালিকের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে নিশ্চিত করেছে আরসিএমপি।
উল্লেখ্য, দ্বিতীয় যুদ্ধের পর জার্মানিতেও স্বস্তিকা চিহ্নযুক্ত পতাকা ও নাৎসি প্রতীক রাখা নিষিদ্ধ।