
নাগরিকদের ভ্যাকসিন গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করছে কানাডিয়ান কোম্পানিগুলোও। গ্রাহকরা প্রথম ডোজের ভ্যাকসিন নেওয়ার প্রমাণ দেখাতে পারলে তাকে কম বা বিনামূল্যে পণ্য ও সেবা সরবরাহ করছে তারা। এসব কোম্পানির মধ্যে বিমা কোম্পানি যেমন আছে, একইভাবে আছে খাদ্য ও প্রযুক্তি কোম্পানিও।
এ উদ্যোগ লকডাউনের মধ্যেও ভোক্তাদের পছন্দের দোকানে ফিরতে এবং নতুন ও স্থানীয় ব্র্যান্ডগুলো খুঁজে দেখতে উদ্বুদ্ধ করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। রাইয়ারসন ইউনির্ভাসিটির অধ্যাপক ও বিপণন বিশেষজ্ঞ জোয়ানে ম্যাকনেইশ বলেন, অনাবশ্যক স্থানে আপনি নিজেকে দেখতে আগ্রহী নাও হতে পারে এবং সেটা মাথায় রেখেইে এই কৌশল। এটা সচেতনভাবে তাদের ব্র্যান্ড আপনার দোরগোড়ায় নিয়ে যাওয়ার একটি উপায়।
ভ্যাকসিনকেন্দ্রিক এই প্রমোশনে নিয়োজিত কোম্পানিগুলোর একটি সম্ব্রেরো ল্যাটিন ফুড। যারা ভ্যাকসিন গ্রহণের সেলফি পোস্ট করছেন অথবা আত্মীয়-স্বজন বা প্রতিবেশিদের জন্য ভ্যাকসিনেশনের বুকিং দিচ্ছেন তাদেরকে ল্যাটিন আমেরিকান ক্যান্ডি উপহার দিচ্ছে মুদি পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানটি। তবে ভ্যাকসিন নেওয়া না নেওয়া যে একান্তই ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত এবং এখানে জোর করার কিছু নেই সেটার ওপরও গুরুত্ব দিচ্ছে তারা।
কোম্পানির ব্যবসা উন্নয়ন ব্যবস্থাপক কোরিনা পার্ডোর কথায়, তারা যাতে স্বস্তি বোধ করেন সেজন্যই কিছুটা আনন্দ ছড়িয়ে দিতে চাইছি আমরা। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর প্রত্যেকটি ভ্যাকসিনেশনকে আমরা কিছুটা উদযাপন করতে চাইছি।
এদিকে পোলারিটি ব্রিউয়িং ইন হোয়াইটহর্স প্রত্যেক ভ্যাকসিন গ্রহীতা ক্রেতাকে বিয়ার বা খাদ্যপণ্য ক্রয়ে দিচ্ছে ৬ ডলারের ছাড়। অন্টারিওর কিচেনারে দ্য মিউজিয়াম ‘জ্যাবড লাইক জ্যাগার’ শিরোনামের প্রচারণায় দর্শনার্থীদের দিচ্ছে বিনামূল্যে প্রবেশের সুযোগ। ম্যানালাইফ ফাইন্যান্সিয়াল ইনকরপোরেশন তাদের কিছু ভ্যাকসিন গ্রহীতা গ্রাহককে রিওয়ার্ড পয়েন্ট দিচ্ছে, যা গিফট কার্ড বা গ্যাজেটে ব্যবহার করা যাবে। কোনো ভ্যাকসিন গ্রহীতা যদি টরন্টোভিত্তিক ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাপ ড্রপের ট্যাগযুক্ত সেলফি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন তাহলে তিনি পাচ্ছেন ৫০ ডলারের ক্যাশ রিওয়ার্ড।
অধিকাংশই এ প্রণোদনার প্রশংসা করলেও কেউ কেউ এর সমালোচনাও করছেন। তারা বলছেন, খুব বেশি ডোনাট খাওয়া স্বাস্থ্যকর নয় এবং ক্রিস্পি ক্রেমকে এজন্য আত্মপক্ষ সমর্থন করতে হচ্ছে।
রোগতত্ত্ববিদ ও ইউনিভার্সিটি অব সাস্কেচুয়ানের অধ্যাপক ড. নাজনীন মুহাজারাইন বলেন, আদর্শিকভাবে যারা ভ্যাকসিনবিরোধী তারা যে এই পুরস্কারে খুব একটা প্রভাবিত হবেন তেমন নয়। তবে এখনও যারা সিদ্ধান্তহীনতায় আছেন তারা উৎসাহিত হতে পারেন।