ডব্লিউই চ্যারিটিকে কাজ দেওয়ার মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো কোনো অন্যায় করেননি বলে ছাড়পত্র দিয়েছেন এথিকস কমিশনার মারিও ডিওন। তবে বিরোধীদলগুলো এ নিয়ে এখনই হাল ছাড়তে রাজি নয়।
এথিকস কমিশনার মারিও ডিওন বৃহস্পতিবার বলেন, গত বসন্তে স্টুডেন্ট সার্ভিসেস গ্র্যান্ট প্রোগ্রাম ব্যবস্থাপনায় ডব্লিউই চ্যারিটিকে বেছে নেওয়ার ব্যাপারে মন্ত্রিসভার যে সিদ্ধান্ত তা থেকে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন টুডো নিজেকে সরিয়ে রাখতে ব্যর্থ হলেও তাতে কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট অ্যাক্টের কোনো লঙ্ঘন হয়নি।
তবে আলাদা এক প্রতিবেদনে সাবেক অর্থমন্ত্রী বিল মরনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ থেকে নিজেকে প্রত্যাহার না করার মধ্য দিয়ে আইন লঙ্ঘন করেছেন বলে জানিয়েছেন ডিওন। তাছাড়া তার বন্ধু ক্রেইগ ও মার্ক কিলবার্গারের প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানকে বাড়তি সুবিধাও পাইয়ে দিয়েছেন তিনি।
এথিকস কমিশনের এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জাস্টিন ট্রুডো। এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, প্রথম থেকেই আমি যেটা বলে আসছি সেটাই প্রতিষ্ঠিত হলো। উদ্যোগটির মূল উদ্দেশ্য ছিল মহামারির মধ্যে তরুণদের যত দ্রুত সম্ভব সহায়তা দেওয়া।
যদিও কনজার্ভেটি নেতা এরিন ও’টুল বলেন, ট্রুডো সরকারকে ঘিরে দুর্নীতির যে সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে তা নিয়ে কানাডিয়ানরা বিরক্ত ও হতাশ। কানাডিয়ানরা আরও ভালো কিছুর দাবি রাখেন। ব্যবস্থাটি ভেঙে পড়েছে।
এ ঘটনার পর পৃথক বিবৃতি দিয়েছেন ব্লক কুইবেকোয়িসের নেতা ইভস-ফ্রাসোয়াঁ ব্লাশেঁ। তিনি বলেছেন, ডিওনের রায়ের প্রতি আমার শ্রদ্ধা আছে। তবে চূড়ান্ত রায় জনগণের হাতে।
গত গ্রীষ্মে একটি ভলান্টারি স্টুডেন্ট গ্র্যান্ট প্রোগ্রাম পরিচালনার জন্য ডব্লিউই চ্যারিটিকে ৪ কোটি ৩৫ লাখ ডলার দেওয়ার পর থেকেই এ নিয়ে ঝামেলার মধ্যে আছে লিবারেল সরকার। শুরুতে এ কর্মসূচিতে বাজেট ধরা হয়েছিল ৯১ কোটি ২০ লাখ ডলার। ওই ঘটনার তোপের মুখে পড়েন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী বিল মরনো। তার মেয়ে সংগঠনটিতে কর্মরত এবং সেখানে মুক্তহস্তে অনুদান দিয়েছেন তিনি। তবে ওই সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া থেকে নিজেদের সরিয়ে না রাখায় মরনো এবং ট্রুডো উভয়েই ক্ষমা প্রার্থনা করেন। ডব্লিউই দ্রুত কর্মসূচি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেন এবং এক পর্যায়ে কর্মসূচিটি বাতিল হয়ে যায়।