ভাবমূর্তী বদলানোর চেষ্টা করছে মন্ট্রিয়ল পুলিশ। এর অংশ হিসেবে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী এবং আদিবাসীসহ সব বর্ণের তরুণদের নিয়োগ দেওয়ার কর্মসূচি শুরু করেছে তারা।
এই কর্মসূচির দায়িত্বে রয়েছেন ইন্সপেক্টর মিগুয়েল আলস্টন। বিষয়টির ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, মন্ট্রিয়ল পুলিশ বাহিনীতে এখানকার জনসংখ্যার বৈচিত্র্যের প্রতিফলন আছে কিনা সেটা নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সংস্কৃতির প্রতি আমাদের সংবেদনশীল হওয়া জরুরি, যাতে করে কমিউনিটিকে সর্বোত্তম সেবাটি আমরা দিতে পারি।
আলস্টনের তথ্যমতে, মন্ট্রিয়ল পুলিশ বাহিনীতে ৩৪ শতাংশ নারী। তবে অশে^তাঙ্গদের প্রতিনিধিত্ব মাত্র ১৩ শতাংশ। কর্মসূচির আওতায় ১৫ থেকে ২৫ বয়সীদের নিয়োগের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যপূর্ণ নেবারহুড এনডিজি, মন্ট্রিয়ল নর্থ ও সেন্ট-মিশেলও এর মধ্যে অন্তর্ভূক্ত।
যদিও কমিউনিটি গ্রুপ পার্ক-এক্সটেনশন রাউন্ড টেবিলের সমন্বয়ক ইভ টোরেস বলেন, মন্ট্রিয়ল পুলিশের প্রতি আস্থায় বহু আগেই চিড় ধরেছে। তাদের উচিত বিষয়গুলো অন্যভাবে দেখা। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তার মতে, জাতিগতভাবে ভিন্নতা বেশি এমন এলাকায় পুলিশ কর্মকর্তাদের বেশি সময় জনগণের সঙ্গে কথা বলে কাটানো উচিত। গাড়িতে যতটা কম সময় কাটানো যায়। কিন্তু আপনি যদি আপনার গাড়ি চালিয়ে যান তাহলে সব প্রান্তেই দেখবেন পুলিশের গাড়ি। এটা খুবই নিবৃত্তমূলক।
পদের ক্ষেত্রেও পদ্ধতিগত বর্ণবাদের অভিযোগ করেছেন কোনো কোনো পুলিশ কর্মকর্তা। গত বছরের জুনে বিষয়টির স্বীকৃতি দিতে ৯ জন কৃষ্ণাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তা পুলিশ ইউনিয়নের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। তবে আস্থা প্রতিষ্ঠায় পুলিশ এখন বিষয়টির দিকে মনোযোগ দিচ্ছে বলে জানান টোরেস। তিনি বলেন, এটা তাত্ত্বিক নয়। এটা বাস্তব। এটা এখন জরুরিও।
আলস্টনও এর সঙ্গে একমত পোষণ করেন এবং কর্মকর্তাদের পরামর্শ নেওয়ার সময় তিনি এমন বার্তা পেয়েছেন বলে জানান। তিনি বলেন, আমরা ইডিআই (ইকুইটি, ডাইভার্সিটি, ইনক্লুশন) কৌশল নিয়ে কাজ করছি, যাতে করে কেউ সংগঠনে ঢুকলে নিজেকে এর অংশ ভাবতে পারেন। জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারাও যাতে তাদের সঙ্গে আলাপ করতে পারেন সে ব্যবস্থাও থাকবে।