
বিমান থেকে ভিন্ন মতাবলম্বী এক সাংবাদিককে আটকের ঘটনায় বেলারুশ সরকারের সমালোচনা করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। পাশাপাশি দেশটির বিরুদ্ধে বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞার বাইরে আরও পদক্ষেপ গ্রহণের কথা ভাবা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে অটোয়াতে বেলারুশের দূতাবাস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দূতাবাসের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে বেলারুশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো বলেন, ফাইটার জেট দিয়ে জোরপূর্বক বিমান নামিয়ে এনে সাংবাদিক রোমান প্রোটাসেভিচকে গ্রেপ্তার গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর সুস্পষ্ট আঘাত। বেলারুশ সরকারের এ আচরণ আপত্তিকর, অবৈধ ও সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য। এ ব্যাপারে আরও কি ব্যবস্থা নেওয়া যায় অটোয়া তা নিয়ে ভাবছে।
নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে গত বছর বেলারুশের ৫৫ নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে কানাডা। ১৯৯৪ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট আলেক্স্যান্ডার লুকাশেঙ্কোর অধীনে এ অনিয়ম সংঘঠিত হয়।
এদিকে রোববার সাংবাদিক আটকের ওই ঘটনার পর থেকে এয়ারলাইন্সগুলো বেলারুশের আকাশসীমা এড়িয়ে চলছে এবং ইউরোপীয় নেতারা মিনস্কের ওপর নিষেধাজ্ঞার খসড়া তৈরি করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন। এর ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আকাশে বেলারুশের উড়োজাহাজ চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে।
ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ এ ঘটনাকে রাষ্ট্রীয় ছিনতাই বলে আখ্যা দিয়েছেন। আয়ারল্যান্ড ও ফ্রান্স একে দস্যুতা বলে উল্লেখ করেছে।
অটোয়াতে বেলারুশ তাদের দূতাবাস চালু করে দেশটির স্বাধীনতার ছয় বছর পর ১৯৯৭ সালে। কনসুলার সেবাসমুহ অটোয়ার পরিবর্তে নিউ ইয়র্ক সিটির কনসুলেট অফিস থেকে প্রদানের কথা ঘোষণা করেছে বেলারুশ।
উল্লেখ্য, ২৬ বছর বয়সী প্রোটাসেভিচ ২৭ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা বেলারুশের প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে নির্বাসনে থেকে প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন। টেলিগ্রাম চ্যানেল নেক্সটা প্রতিষ্ঠাতাদের তিনি একজন এবং লুকাশেঙ্কোবিরোধী সমাবেশ সংগঠনে সহায়তা করেছে চ্যানেলটি। এ ঘটনায় প্রোটাসেভিচের বিরুদ্ধে গত বছর দাঙ্গা বাধানোর অভিযোগ আনে সরকার। সেই সাথে তাকে সন্ত্রাসবাদী হিসেবে তালিকাভূক্ত করে।