পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী বছর থেকে টেক জায়ান্টদের ওপর কর আরোপে কাজ শুরু করেছে কানাডা। যদিও বিশে^র সবচেয়ে ধনী দেশগুলো একটি বৈশি^ক কর কাঠামো প্রস্তাব করেছে। প্রযুক্তি জায়ান্টদের ওপর লেভি আরোপ এর অন্তর্ভূক্ত।
জি৭ অর্থমন্ত্রীদের বৈঠকের পর শনিবার এ কথা বলেন কানাডার অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড। লন্ডনে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে বৈশি^ক কর পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বিশে^র সবচেয়ে ধনী সাতটি গণতান্ত্রিক দেশ বৈশি^ক সর্বনি¤œ ১৫ শতাংশ করপোরেট কর প্রস্তাব করেছে, যাতে করে বহুজাতিক কোম্পানিগুলো কর এড়াতে নি¤œ আয়ের দেশগুলো মুনাফা স্থানান্তর না করে। পাশাপাশি এদিন আরেকটি প্রস্তাবও অনুমোদন করেছে জি৭ভূক্ত দেশগুলো। এ প্রস্তাবের ফলে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক টেক জায়ান্টসহ বিশে^র বৃহত্তম কোম্পানিগুলোর কোনো দেশে সদরদপ্তর না থাকলেও সেখানে বড় ধরনের বিক্রি হলে ওই দেশে কর পরিশোধ করতে হবে।
তবে ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কানাডা এককভাবে ডিজিটাল সেবা কর আরোপ করবে বলে জানিয়েছেন ফ্রিল্যান্ড। ব্রিটেন, ফ্রান্স ও ইতালি এরই মধ্যে এ ধরনের কর আরোপ করেছে। নতুন বৈশি^ক ব্যবস্থার কারণে দেশগুলোকে তাদের কর পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে হবে বলে মনে করেন ফ্রিল্যান্ড। তিনি বলেন, বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর উচিত তাদের ওপর প্রযোজ্য কর ন্যায্যতার সঙ্গে পরিশোধ করা। জুরিসডিকশন শপিংয়ের (নীতি সহায়তা বেশি পাওয়া দেশে বিনিয়োগের কৌশল) মাধ্যমে এটা এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে তাদের জন্য।
কানাডার কোনো কোম্পানি প্রস্তাবিত কর ফর্মুলার আওতায় আসবে কিনা সেটা জানাননি ফ্রিল্যান্ড। তবে দেশীয় কিছু কোম্পানি আগামী বছর থেকে ডিজিটাল করের আওতায় আসবে।
তবে কাঠামোগত চুক্তি এ গল্পের শেষ নয় বলে জানান জি৭ভূক্ত অন্যান্য দেশের অর্থমন্ত্রীরা। বরং আরও বেশি দেশের মধ্যে আলোচনার প্রয়োজন পড়বে। তবে কর ব্যবস্থা পরিবর্তন যে জরুরি এটা তার একটা ইঙ্গিত।
১১ জুন শুরু হতে যাওয়া জি৭ নেতাদের বৈঠকের আগে জোটভূক্ত দেশের অর্থমন্ত্রীরা নিজেদের মধ্যে বৈঠক করলেন। যুক্তরাজ্যের কর্ণওয়ালে অনুষ্ঠেয় জি৭ নেতাদের বার্ষিক সম্মেলনে অংশগ্রহণের পরিকল্পনা করছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
উল্লেখ্য, বৈশি^ক ন্যুনতম কর হারের প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগেই সমর্থন জানিয়েছেন। শুরুতে তিনি ন্যুনতম কর ২১ শতাংশ করার পক্ষে ছিলেন। মার্কিন কোম্পানির বিদেশে আয়ের ওপর ২১ শতাংশ কর প্রস্তাব করেছেন জো বাইডেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময় এ হার ছিল ১০ দশমিক ৫ থেকে ১৩ দশমিক ১২৫ শতাংশ।