এয়ার কানাডা বেইল আউট নিয়ে যখন ফেডারেল সরকারের সঙ্গে দরকষাকষি করছে ঠিক সেই সময়ে নির্বাহীদের বড় অংকের বোনাস দেওয়ায় এয়ারলাইন্সটির প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড।
এয়ার কানাডা গত সোমবার নির্বাহীদের ১ কোটি ডলার বোনাস প্রদানের ঘোষণা দেয়। তাদের দাবি, গত বছর মহামারির সময় আকাশ ভ্রমণ যখন প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সেই সময় এয়ারলাইন্সটিকে টিকিয়ে রাখতে এই নির্বাহীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।
এ প্রসঙ্গে ফ্রিল্যান্ড গত মঙ্গলবার বলেন, কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে করপোরেটসূলভ আচরণ করতে না দেখে আমি হতাশ। এটা তারা করছে মহামারির সময় করদাতাদের অর্থে ফেডারেল সহায়তা পাওয়ার পর।
এয়ার কানাডার বোনাস দেওয়াকে সঠিক সিদ্ধান্ত নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি। গত এপ্রিলে ৫৯০ কোটি ডলার ঋণের বিষয়ে সরকার ও এয়ার কানাডা একমত হয়। এই অর্থ থেকে যাত্রা বাতিল হওয়া যাত্রীদের টিকিটের অর্থ ফেরত দেওয়ার কথা। তবে ঋণের শর্ত হিসেবে নির্বাহীদের বেতনের সর্বোচ্চ সীমা বেঁধে দেওয়া হয় পুরোপুরি ঋণ পরিশোধের ১২ মাস পর্যন্ত ১০ লাখ ডলার। দেশের সর্ববৃহৎ এয়ারলাইন্সটির ৬ শতাংশ শেয়ারের বিনিময়ে আরও ৫০ কোটি ডলার পরিশোধ করে সরকার। নিয়মিত ভ্রমণ শুরু হওয়ার পর রাজস্ব বাড়লে করদাতারা সুফল পাবেন ভেবেই এ অর্থ দেওয়া হয়েছে বলে জানান ফ্রিল্যান্ড।
এর ফলে সরকার এয়ারলাইন্সটির গুরুত্বপূর্ণ শেয়ারহোল্ডার হিসেবে আবির্ভূত হয়। ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড বলেন, এটা কোম্পানির সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আমাদের কথা বলার সুযোগ এনে দিয়েছে এবং যৌক্তিক দৃষ্টিকোণ থেকে আমাদের মতামত জানাতে আমরা পিছপা হবো না।