বছরের প্রথম প্রান্তিকে কানাডার প্রবৃদ্ধি ব্যাংক অব কানাডার পূর্বাভাসের চেয়ে কম ছিল। মহামারির তৃতীয় ঢেউয়ের সময় বর্ধিত লকডাউনের কারণে ঝিমিয়ে পড়েছিল অর্থনৈতিক কর্মকা-ও।
কানাডিয়ান রেটসের পরিচালক বেঞ্জামিন রিটজিস বলেন, প্রথম প্রান্তিকে কানাডার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পূর্বাভাসের চেয়ে ১ দশমিক ৪ শতাংশীয় পয়েন্ট কম ছিল। দ্বিতীয় প্রান্তিকের প্রবৃদ্ধিও প্রত্যাশার চেয়ে কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদরা বলছেন, তাদের প্রত্যাশা গ্রীষ্মের শুরুতে কানাডার অর্থনীতি ভালোভাবেই ঘুরে দাঁড়াবে। এটা হবে মূলত ভ্যাকসিন গতি পাওয়ায় এবং প্রাদেশিক সরকারগুলো বিধিনিষেধ শিথিল করার পর ভোক্তা ব্যয় বেড়ে যাওয়ার ফলে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত বুধবার সুদহার দশমিক ২৫ শতাংশে অপরিবর্তীত রেখেছে। গত বছর মহামারির শুরু থেকেই সুদের হার একই রেখেছে ব্যাংক অব কানাডা। অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত সুদহার না বাড়ানোরও ঘোষণা দিয়েছে তারা। সুদের হার বাড়লেও তা ২০২২ সালের প্রথমার্ধের আগে নয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভবিষ্যৎ শ্রমবাজারের পুনরুদ্ধারও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক হিসেবে কাজ করবে বলে জানান টিডির জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ শ্রী থালাবালাসিঙ্গাম। এই গ্রীষ্মেই যদি কর্মসংস্থান ঘুরে দাঁড়ায় তাহলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক শিগগিরই সুদের হার বাড়াতে বাধ্য হবে বলে মনে করেন তিনি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভার্নিং কাউন্সিল বলেছে, গ্রীষ্মে মূল্যস্ফীতি ৩ শতাংশেল মধ্যে ঘোরাফেরা করবে। এর কারণ মূলত গ্যাসের উচ্চ মূল্য। প্রথম দিকের মহামারির মাসগুলোর তুলনায় গ্যাসের মূল্য এখন অনেক বেশি। ব্যাংক অব কানাডা বলছে, বছরের শেষ দিকে মূল্যস্ফীতি কমে আসতে পারে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রক্ষেপিত ২ শতাংশের মধ্যেই তা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। খবর: দ্য কানাডিয়ান প্রেস।