ডার্লিংটন নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টে আরও তিনটি ছোট মোডিউলারের রিঅ্যাক্টরের পরিকল্পনা করছে অন্টারিও। প্রদেশ নতুন করে বৃহৎ আকারের নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টের পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে বলে জ¦ালানিমন্ত্রী ঘোষণা দেওয়ার এই ঘোষণা এল।
চারটি ছোট মোডিউলার রিঅ্যাক্টরের পাশাপাশি পরিকল্পিত ব্রুস পাওয়ারের বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা দাঁড়াবে ৬ হাজার মেগাওয়াট। এই দিয়ে ২০৩০ সালের মাঝামাঝি নাগাদ ৬০ লাখ বাড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
এমন এক সময় ঘোষণাগুলো এল যখন বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে দ্রুতগতিতে। সেই সঙ্গে এই পূর্বাভাসও রয়েছে যে, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইলেক্ট্রিসিটি সিস্টেম অপারেটরদের সে সময় সরবরাহ ঘাটতি থাকবে প্রায় ৫ হাজার মেগাওয়াট।
জ্বালানিমন্ত্রী টড স্মিথ এক্ষেত্রে অন্টারিওর সেন্ট থমাস ও উইন্ডসরে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি তৈরির কারখানা নির্মাণের দিকে ইঙ্গিত করেন। সেই সঙ্গে অন্টারিওর পূর্বাঞ্চলে ব্যাটারির যন্ত্রাংশ উৎপাদনের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
স্মিথ বলেন, এই পাঁচটি বিনিয়োগের ফলে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়বে বছরে আট টেরাওয়াট। চিন্কতা করে দেখুন পরিমাণটা? এটা অটোয়া অঞ্চলের বার্ষিক বিদ্যুৎ ব্যবহারের সমপরিমাণ। এ ছাড়া প্রদেশ ২০৩১ সালের মধ্যে ১৫ লাখ নতুন বাড়ি নির্মাণ করছে। এটাও বিদ্যুতের চাহিদা বাড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ছোট মোডিউলার রিঅ্যাক্টরেও প্রথাগত নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টের মতো একই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কিন্তু এগুলো অনেক বেশি ছোট। আইইএসও গত বছর তাদের প্রতিবেদনে যেসব সুপারিশ করেছিল নতুন নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর নির্মাণ ছিল সেগুলোর অন্যতম। বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রদেশের প্রাকৃতিক গ্যাসের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে আনাই এর লক্ষ্য।