রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে হুমকি ক্রমেই স্বাভাবিক বিষয় হয়ে উঠছে। ব্যক্তিগত ক্ষোভের কারণে সৃষ্ট ও ভুল তথ্য বা ইচ্ছাকৃত মিথ্যার কারণে শক্তিশালী হয়ে ওঠা চরমপন্থী বয়ান এর মূল কারণ। এমনটাই বলা হয়েছে নতুন প্রকাশিত এক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে।
নির্বাচনের সুরক্ষায় নিয়োজিত একটি ফেডারেল টাস্ক ফোর্স প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কানাডার সহিংস চরমপন্থী বাতাবরণে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব বাড়ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে রাষ্ট্রের অখ-তার প্রতি আস্থার অভাব। পাশাপাশি আরও বেশি রাজনৈতিক মেরুকরণ ঘটছে।
ভিত্তিহীন তত্ত্ব, ভুল তথ্য ও বিকৃত তথ্য বৃহত্তর শ্রোতা পর্যন্ত ছড়িয়ে গেছে এবং অনলাইন ব্যবহারকারীরা বয়ানের বিস্তৃত নেটওয়ার্কের সামনে পড়ছেন। এগুলো বিজ্ঞান, সরকার ব্যবস্থা এবং কর্তৃপক্ষের প্রথাগত বিষয়গুলোকে খাটো করে তুলছে। সহিংস উপমা নির্বাচিত কর্মকর্তাদের নিয়মিত উচ্চপদস্থ নারীদের প্রতি বিশেষভাবে শত্রুতায় আচ্ছন্ন করছে।
সিকিউরিটি অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স থ্রেটস টু ইলেকশন্স টাস্ক ফোর্সের ২০২৩ সালের জুন মাসের প্রতিবেদনটি পেতে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করে দ্য কানাডিয়ান প্রেস। ‘সিক্রেট/কানাডিয়ান আইস ওনলি’ মূল্যায়নের কিছু অনুচ্ছেদ এতটাই সংবেদনশীল যে সেগুলো প্রকাশ করার মতো নয়।
বিদেশি হস্তক্ষেপ থেকে নির্বাচন পদ্ধতিকে সুরক্ষিত রাখতে ২০১৯ সালে ফেডারেল টাস্ক ফোর্সটি প্রতিষ্ঠা করে সরকার। এতে প্রতিনিধি হিসেবে আছে কানাডিয়ান সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস, আরসিএমপি, গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডা এবং কানাডার সাইবার গোয়েন্দা সংস্থা কমিউনিকেশন্স সিকিউরিটি এস্টাবলিশমেন্ট।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদেশি হস্তক্ষেপ ইস্যুতে অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসী হুমকির দিকে নজর দেওয়া টাস্ক ফোর্সের কাজ নয়। তারপরও এ ব্যাপারে আমাদের মূল্যায়ন প্রদানের প্রয়োজনীয়তার মান্যতা দিয়ে থাকি।