রেড লাইট ও স্পিড ক্যামেরার ইস্যু করা টিকিট ঘিরে অভিযোগ প্রক্রিয়া সহজ করতে পরিকল্পনা পাস করেছে টরন্টো সিটি কাউন্সিল। প্রযুক্তিটির ব্যবহার বাড়ানোরও উদ্যোগ নিচ্ছে কাউন্সিল।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, টিকিট সংক্রান্ত বিরোধ প্রাদেশিক আদালত থেকে সিটি পরিচালিত জরিমানা ব্যবস্থায় স্থানান্তরিত হবে। অনেকটা পার্কিংয়ের টিকিট সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির মতো।
সিটি কর্মীদের তথ্য অনুযায়ী, এর মধ্য দিয়ে চালকদের জন্য বিরোধ নিষ্পত্তির প্রক্রিয়াটি সহজ হবে। সেই সঙ্গে দক্ষতা বাড়বে এবং অন্যান্য বিষয়ে মনোযোগ দিতে আদালতও সময় পাবে। সবমিলিয়ে সিটির পক্ষে বিরোধের স্তূপ এড়ানো সম্ভব হবে।
এক প্রতিবেদনে সিটি কর্মীরা লিখেছেন, প্রশাসনিক জরিমানা ব্যবস্থা প্রাদেশিক ও মিউনিসিপাল পর্যায়ের সরকারে সাফল্য পেয়েছে। সিটি অব টরন্টোর পার্কিং নিয়ম লঙ্ঘনের ক্ষেত্রেও এটা ভূমিকা রাখছে। একই সঙ্গে এটা আইন প্রয়োগ ও বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে এটা কার্যকর পদ্ধতি। বিচার ব্যবস্থার প্রতি বিশ^াস ও আস্থা ফেরাতেও ভূমিকা রাখছে এটি।
সিটি কর্মীরা বলেন, পদ্ধতিটি টিকিট সংক্রান্ত বিরোধের স্তূপ কমিয়ে সিটিকে আরও ক্যামেরা চালুর সুযোগ করে দেবে, এর ভিশন জিরো সড়ক নিরাপত্তা লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সাহায্য করবে।
সিটি কাউন্সিলের বৈঠকের আগে মেয়র অলিভিয়া চাউ সাংবাদিকদের বলেন, এটা পদ্ধতিটি এগিয়ে নেওয়ার কিন্তু গাড়ির গতি কমিয়ে আনার উদ্যোগ। পথচারী ও সাইক্লিস্টদের সঙ্গে গাড়ির ধাক্কা লাগার বিষয়টি তিনি প্রায়ই শুনে থাকেন। মাত্রাতিরিক্ত গতি অনেক সময় এক্ষেত্রে প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আমি জানি যে, গাড়ি যদি ধীর গতিতে চলে তাহলে আহতের ঘটনা কম হবে। এমনকি জীবন বাঁচানোও সম্ভব হবে। পরিকল্পনাটি জ্যেষ্ঠ নাগরিক ও অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ সড়ক ব্যবহারকারীদের সুরক্ষায় পরিকল্পনাটি সহায়ক হবে।
পরিকল্পনার আওতায় ২০২৬ সালের মধ্যে অটোমেটেড স্পিড ক্যামেরার সংখ্যা ৭৫টি থেকে দ্বিগুণ বেড়ে ১৫০টিতে উন্নীত হবে। সেই সঙ্গে পদ্ধতিটির ব্যবস্থাপনায় নগরিতে ৭৪টি নতুন পদের সৃষ্টি হবে।
হিসাব অনুযায়ী, নতুন এই পদ্ধতিটি নগরীর জন্য ২০২৬ সাল নাগাদ ১২ লাখ ৭০ হাজার ডলার নিট রাজস্ব জোগাদ দেবে। যদিও সেটা বড় বিষয় নয় বলে জানিয়েছেন সিটি কর্মীরা।
সিটি কাউন্সিল সর্বসম্মতভাবে প্রস্তাবটি পাস করে। চলতি বছরের ১ নভেম্বর থেকে এটি কার্যকর হবে।