মন্ট্রিয়লের অলিম্পিক স্টেডিয়াম ভাংতে ২০০ কোটি ডলার খরচ হবে বলে জানিয়েছেন কুইবেকের পর্যটনমন্ত্রী ক্যারোলাইন প্রোক্স। তবে এই হিসাব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, উত্তর আমেরিকার অন্যান্য সিটি এ ধরনের স্টেডিয়াম আরও কম অর্থে ভেঙেছে।
পর্যটনমন্ত্রী চলতি সপ্তাহে এই হিসাব প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে তুলনামূলক সাশ্রয়ী পরিকল্পনাও হাজির করেছেন তিনি। তার মতে, ১৯৭৬ সালের অলিম্পিক আসরের জন্য তৈরি স্টেডিয়ামটির নড়বড়ে ও বিপজ্জনক ছাদটি প্রতিস্থাপন করলে খরচ হবে ৮৭ কোটি ডলার। ছাদের খারাপ অবস্থার কারণে ছয় মাস ধরে এখানে কোনো খেলা বা প্রদর্শনী হচ্ছে না। তিন সেন্টার পুরু বরফের পূর্বাভাস পেলেই অনুষ্ঠান বাতিল করা হয় এখানে।
কিন্তু কুইবেকের রাজনীতিকরা কয়েক বছর ধরে বলে আসছেন, একমাত্র যৌক্তিক বিকল্প হচ্ছে স্টেডিয়ামটির মেরামত জারি রাখা। যদিও ১৯৮৭ সালে নির্মাণ শেষ হওয়ার পর স্টেডিয়ামের ছাদ কখনোই ঠিকভাবে কাজ করেনি।
ওরচেস্টারের কলেজ অব দ্য হলিক্রসের অর্থনীতির অধ্যাপক ভিক্টর ম্যাথেসন বলেন, স্টেডিয়াম ভাংতে যে খরচের কথা আমি শুনেছি এটা তার চেয়ে বেশি। ম্যাথেসন স্পোর্টস অর্থনীতির একজন বিশেষজ্ঞ।
উদাহরণ হিসেবে আটলান্টার একটি ডোমাকৃতির ফুটবল স্টেডিয়াম ২০১৭ সালে ভাংতে ও নির্মাণ করতে খরচ হয় ১৬০ কোটি ডলার। ম্যাথেসন বলেন, মন্ট্রিয়লে একটি স্টেডিয়াম ভাংতেইে যে পরিমাণ খরচ হচ্ছে একই অর্থে আটলান্টায় একটি পুরো স্টেডিয়াম ভাঙা ও নির্মাণ করে ফেলতে পারবেন আপনি।
স্পোর্টস ভেন্যু ভাঙার ব্যয় ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। ২০১৭ সালে রেজাইনার ৩৩ হাজার ৩৫০ আসনের একটি ফুটবল স্টেডিয়াম ভাঙার কাজ অন্টারিওর একটি কোম্পানিকে ২১০ কোটি ডলারে দেওয়া হয়। অন্য স্টেডিয়াম ভাঙার ব্যয় আরও বেশি। ২০২৩ সালে ওয়াশিংটন ডিসির রবার্ট এফ, কেনেডি মেমোরিয়াল স্টেডিয়ামটি ভাংতে খরচ হয় ২ কোটি মার্কিন ডলার।
নিউ ইয়র্ক সিটিতে মূল ইয়াঙ্কি স্টেডিয়াম ভাংতে খরচ হয় ২ কোটি ৫০ লাখ ডলার। এরপর স্থানটিকে পার্কে রূপান্তরিত করা হয়।
২০০৯ সালে মন্ট্রিয়লের অলিম্পিক স্টেডিয়াম ব্যবস্থাপনার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রাদেশিক সংস্থার এক প্রতিবেদনে এটি ভাঙার ব্যয় ধরা হয় ৭০ কোটি ডলার। মূল্যস্ফীতি সমন্বয়ের পর খরচ দাঁড়ায় ৯৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার।