ইসরায়েলের ওপর হামলার সময় হামাসের যৌন সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি। এ ব্যাপারে সরব হতে কয়েক সপ্তাহ ধরে চাপের পর এই মন্তব্য করলেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে জোলি লেখেন, যুদ্ধের কৌশল হিসেবে যৌন সহিংসতা ব্যবহার করা অপরাধ। যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার কড়া নিন্দা জানাচ্ছে কানাডা। ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের সদস্যদের হাতে নারীদের ধর্ষণের বিষয়টি এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। ইসরায়েলি নারীদের প্রতি আমাদের বিশ^াস আছে।
বিরোধীদলগুলো কয়েক সপ্তাহ ধরেই হামাসের যৌন সহিংসতার নিন্দা জানাতে সরকারের ওপর চাপ দিয়ে আসছিল। এ সময় যুক্তি দেওয়া হয় যে, সহিংসতার বিরুদ্ধে শুধু নিন্দা জানানোই যথেষ্ট নয়।
১৪ অক্টোবর দলের সম্মেলনে এনডিপি নেতা জাগমিত সিং সাংবাদিকদের বলেন, হামাসের নির্যাতন, হত্যা ও যৌন সহিংসতার কোনো ন্যায্যতা নেই।
হামাসের যৌন সহিংসতার নিন্দা না জানানোয় দুই সপ্তাহ আগে জাতিসংঘের নিন্দা জানানোর জন্য লিবারেল সরকারের প্রতি আহ্বান জানান কনজার্ভেটিভ এমপি মাইকেল রেমপেল গারনার। এক সপ্তাহ পর অবশ্য সংস্থাটি নিন্দা জানায়।
সে সময় সংসদীয় সচিব পাম ডামোফ বলেন, নারী ও অন্য বেসামরিক নাগরিকদের প্রতি হামাসের কর্মকা-ের নিন্দা জানাচ্ছে কানাডা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টের কারণে কনজার্ভেটিভরা ৭ নভেম্বর তেল আবিবে কানাডা দূতাবাস ও রামাল্লায় এর মিশনের দিকেও আঙুল তোলে কনজার্ভেটিভরা। ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার যুদ্ধে ফিলিস্তিনিরা যৌন সহিংসতার শিকার হচ্ছে এমনর ইঙ্গিতই দিয়েছে ওই পোস্ট। পোস্টে বলা হয়েছে, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের নারী ও মেয়ে এবং পুরুষ ও বালকরা যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার শিকার হচ্ছে। যুদ্ধের কৌশল হিসেবে যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা কাজে লাগানোর নিন্দা জানাচ্ছে কানাডা। সব ভুক্তভোগীর জন্য ন্যায়বিচার দাবি করছি আমরা।