ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ নিয়ে একজন অধ্যাপক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মন্তব্য করার পর তা পর্যালোচনা করছে ম্যাকমাস্টার ইউনিভার্সিটি। বিক্ষোভ ঘিরে তার এই মন্তব্যে বিশ^বিদ্যালয়ের মূল্যবোধ ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে বেমানান বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ইভা লন ম্যাকমাস্টার ইউনিভার্সিটির কার্ডিয়াক হেলথ অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশনের মেডিকেল পরিচালক। একই সঙ্গে বিশ^বিদ্যালয়ের মেডিকেল স্কুলের মেডিসিনের অধ্যাপকও। গত সপ্তাহে তিনি নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিনে অনুষ্ঠিত ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ নিয়ে নিউ ইয়র্ক পোস্টের এক নিবন্ধেল ওপর লিঙ্কডইনে একটি মন্তব্য করেন। সেখানে তিনি বলেন, তারা যেখান থেকে এসেছে সেখানে ফেরত পাঠানো হোক।
পরবর্তীতে শুক্রবার সকালে অবশ্য লন টুইটারে তার এই মন্তব্যের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। সেখানে তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে বর্তমানে যা হচ্ছে তার আকস্মিকতায় এই মন্তব্য করেছেন তিনি। ইহুদি ঐতিহ্য ও ইসরায়েলের সঙ্গে আমার পারিবারিক বন্ধন থাকায় ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনকে ঘিরে যেসব বৈশি^ক ঘটনা ঘটছে তা ব্যক্তিগতভাবে আমাকে স্পর্শ করেছে। এটা আমি উপলব্ধি করেছি যে, আমার বিবৃতির ফলে যে ক্ষতি হয়েছে তা এটা দিয়ে পূরণ হবে না। আমার রোগী, সহকর্মী, শিক্ষার্থী, প্রশিক্ষণার্থী ও কর্মীদের মধ্যে বৈচিত্র্যের মূল্যবোধে আমি গভীরভাবে বিশ্বাসী। মুসলিম কমিউনিটিসহ বিভিন্ন ধর্মে বিশ্বাসী মানুষের সঙ্গে যে সম্পর্ক আমি গড়ে তুলেছি তার জন্য আমি গর্বিত।
ক্ষমা চাওয়ার পরও ২ নভেম্বর সকাল পর্যন্তও লিঙ্কডইনে করা ওই মন্তব্যটি ছিল। ম্যাকমাস্টার ইউনিভার্সিটির একজন মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেছেন, তার এই মন্তব্য আমাদের মূল্যবোধের সঙ্গে যায় না। বিশ^বিদ্যালয়ের যে নীতিমালা রয়েছে তার আলোকে বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে। তবে এ ব্যাপারে এর বেশি বলতে চাননি তিনি।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা বৈচিত্র্যপূর্ণ কমিউনিটিতে বিশ^াস করি। ন্যায্যতার দাবিদতার সব গ্রুপ ও নবাগতরা তার অন্তর্ভুক্ত।