গ্রেটার বরিশাল ক্লাব কানাডার জমজমাট বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠিত হল টরন্টোর অ্যাডামস পার্কে। শনিবার প্রায় ৫ শতাধিক বরিশালবাসি ও তাদের স্বজন-বন্ধুদের অংশগ্রহণে পুরো পার্ক যেন বাংলাদেশিদের এক মিলনমেলায় পরিণত হয়।
অনুষ্ঠানে টরন্টোর বাংলাদেশ কনসাল জেনারেল লুৎফর রহমান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। তাকে সাদরে আপ্যায়ন করেন বরিশাল ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা।
এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, বরিশাল নানাদিক দিয়ে সমৃদ্ধ। এখানে অনেক বিখ্যাত মানুষদের জন্ম হয়েছে। বাংলাদেশের সাহিত্য-সংস্কৃতি, মুক্তিযুদ্ধে বরিশালের মানুষদের অনেক অবদান আছে।
তিনি আরও বলেন, বৃহত্তর বরিশালের যারা দেশের বাইরে আছে তারাও নানাভাবে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখছেন। তাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য তিনি সকলকে ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কানাডার অন্টারিও প্রাদেশিক পার্লামেন্টের সংসদ সদস্য ডলি বেগম। তিনি সকলের সাথে কুশল বিনিময় করেন।
অনুষ্ঠানে বরিশালবাসি ছাড়াও রিয়েল এস্টেট এজেন্ট, আইনজীবী, মর্টগেজ এজেন্ট, ইমিগ্রেশন কনসাল্টেন্ট, টিভি ও সংবাদপত্রের মালিক ও সম্পাদক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
সকালে স্ন্যাঙ্কস আর বেলা গড়াতেই সুস্বাদু পাস্তা দিয়ে সবাইকে নেমন্তন্য করা হয়।
এর মাঝেই চলতে থাকে শিশু-কিশোরদের নানা রকমের গেমস। তাতে অংশ নেয় ক্ষুদে অতিথিরা।
দুপুরে পোলাও, চিকেন রোস্ট, মাটন কারী, মিক্সড সবজী, ডিম, চিকেন টিকিয়া কাবাব, রসগোল্লা এবং কোমলপানীয় দিয়ে ভরপুর আহারে তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলেন অতিথিরা।
খাওয়া শেষে চা আর খিলি পান খেয়ে বিশ্রাম নেন অনেকে। এরপর পুরুষদের জন্য চাকতি নিক্ষেপ খেলা অনুষ্ঠিত হয়। মেয়েদের জন্য ছিল মনোমুগ্ধকর খেলা মিউজিক্যাল পিলো পাসিং।
গরমে স্বস্তি আনতে পড়ন্ত বিকেলে তরমুজ পরিবেশন করা হয়।
সারাদিন ব্যাপী সকলে প্রিয়জনদের সাথে ছবি তোলেন। শেষবেলায় ছিল পুরস্কার বিতরণ এবং র্যাফেল ড্র। খাবারের টিকিটের কুপণে এবার ছিল ল্যাপটপসহ আকর্ষণীয় ৭টি পুরস্কার। আর র্যাফেল ড্র’তে ছিল ৫০০, ৩০০ এবং ২০০ ডলার নগদ ক্যাশ পুরস্কার!
এবারের পিকনিকের কনভেনর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মাহবুব ওসমানী। অনুষ্ঠানটি সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে ছিলেন সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব কর্মকার, এবং সভাপতি শামসুল আলম। এছাড়া কো-কনভেনর, কার্যনির্বাহী সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকদের নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে পিকনিক সার্থক হয়ে ওঠে।
বরিশাল ক্লাবের এবারের বার্ষিক বনভোজনে স্পন্সর ছিলেন ক্রেডিট কাউন্সেলর মাইনুল খান ও নাসরিন খান দম্পতি, ব্যারিস্টার ওমর হাসান আল জাহিদ, ব্যারিস্টার রিজওয়ান রহমান, ইমিগ্রেশন কনসাল্টেন্ট তানভীর নেওয়াজ, রজার্সের অ্যাকাউন্ট স্পেশালিষ্ট এইচ এম মারুফুজ্জামান, সি এম ডিজাইনস এন্ড ইঞ্জিনিয়ার্স এর কর্ণধার ফয়সাল আহমেদ, রিয়েল এস্টেট ব্রোকার শেখ হাসিব হোসেন, রিয়েল এস্টেট এজেন্ট অটল আরিফুজ্জাহান, রিয়েল এস্টেট এজেন্ট বিপ্লব কর্মকার, রিয়েল এস্টেট এজেন্ট শামসুল আলম, এবং রিয়েল এস্টেট এজেন্ট মাহবুব ওসমানী। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।