টরন্টোর মেয়র অলিভিয়া চাউ অফিসে তার প্রথমদিনে বলেন, শরনার্থী সংকট শহরের রাস্তা পর্যন্ত উপচে পড়ছে এবং এটা তার অগ্রাধিকারের উপরের দিকে রয়েছে।
তিনি বলেন, আমি অবশ্যই আমার চিফ অব স্টাফের সঙ্গে বৈঠক করে টিটিসির ব্যাপারে ধারণা নেব। সেই সঙ্গে কিছু কাউন্সিলরের সঙ্গেও বৈঠক করব এবং কিছু পেপারওয়ার্ক করতে হবে। এই মুহূর্তে যে সংকটের মধ্যে আমরা রয়েছি সত্যিই আমরা তা খতিয়ে দেখছি। এইসব শরনার্থীর আসলে কোনো জায়গা নেই। আপনারা জানেন গত রাতে ও আজ সকালে বেশ বৃষ্টি হয়েছে। আপনার যদি থাকার কোনো জায়গা না থাকে, মাথার ওপর ছাদ না থাকে তাহলে ভাবুন, জীবন কতটা কষ্টের। এটা কঠিন। সুতরাং, আজ থেকেই সংকটটা আমি সমাধান করতে চাই।
সিটির আশ্রয়ণ ব্যবস্থার একটি ইনটেক সেন্টারের বাইারে পিটার ও রিচমন্ড স্ট্রিটে শরনার্থীরা কয়েক সপ্তাহ ধরে ক্যাম্প করে অবস্থান করছেন। শরনার্থীদের আশ্রয়ণ কেন্দ্রে ভর্তি না করে তাদেকে ফেডারেল কর্মসূচির আওতায় আনার কথা বলে আসছে সিটি অব টরন্টো। কারণ, শরনার্থীদের দায়িত্ব ফেডারেল সরকারের। এ ছাড়া নগরীর জনবহুল আশ্রয়ণ কেন্দ্রগুলো সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে।
সিটি সার্ভিসের মাধ্যমে শরনার্থীদের দেখাশোনা বাবদ ফেডারেল সরকার প্রতি বছর সামান্য কিছু ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে। কিন্তু স্থানীয় কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছে, বর্তমান যে পরিস্থিতি তা টেকসই নয় এবং শরনার্থীদের আবাসনের জন্য কানাডা সরকারের আরও বেশি কিছু করা উচিত।