মাত্র ১০ ফুট চওড়া টরন্টোর একটি বাড়ি চাওয়া মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হলো। তালিকাভুক্ত করার পাঁচদিনেরও কম সময়ের মধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে।
হাউস সিগমার তথ্য অনুযায়ী, পার্কডেল নেবারহুডের এক শয়নকক্ষ ও চার বাথরুমের ১৮ সন্ডারস এভিনিউয়ের বাড়িটি বিক্রির জন্য ২৪ মে তালিকাভুক্ত করা হয়। দাম চাওয়া হয় ১১ লাখ ৪৯ হাজার কানাডিয়ান ডলার। ২৮ মে বাড়িটি ১৪ লাখ ৫০ হাজার ডলারে বিক্রি হয়ে যায়, যা চাওয়া মূল্যের চেয়ে ৩ লাখ ডলার বেশি। উঁচু ছাদ, খোলা বিম ও পর্যাপ্ত আলো চলাচলের সুবিধা রয়েছে বাড়িটিতে।
বাড়িতে আরও আছে একটি বেজমেন্ট অ্যাপার্টমেন্ট, রান্না ঘরের সঙ্গে লাগোয়া একটি লেনওয়ে, বাথরুম, লন্ড্রি ও ঘুমানোর জায়গা।
টরন্টোতে বাড়ির দাম ক্রমাগত বাড়ছে এবং তালিকাভুক্ত বাড়িগুলোর প্রত্যাশিত দাম পাওয়া এখন অসম্ভব কিছু নয়। ক্রেতারা এখন অতিমাত্রায় মূল্যযুদ্ধের মধ্যে পড়ে গেছেন। টরন্টোর রিজিয়নাল রিয়েল এস্টেট বোর্ডের উপাত্ত অনুযায়ী, এপ্রিল থেকে মে পর্যন্ত টরন্টোতে বাড়ির দাম বেড়েছে গড়ে ৪০ হাজার ডলার।
টরন্টো রিজিয়নাল রিয়েল এস্টেট বোর্ডের প্রধান বাজার বিশ্লেষক জেসন মার্সার বলেন, নগরীতে বাড়ির সরবরাহ বিক্রির অনুপাতে বাড়ছে না। তাই বসন্তজুড়ে বিক্রয় মূল্যে আমরা ঊর্ধমুখী চাপ দেখতে পাচ্ছি।
এই পরিস্থিতিতে তালিকাভুক্ত করার সময় বিক্রেতারা কিছুটা সৃষ্টিশীল হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। ২০২১ সালে বিক্রির জন্য প্রস্তাব করা একটি বাড়ি টরন্টোতে সবার দৃষ্টি কেড়েছিল। বাড়িটির দাম চাওয়া হয়েছিল ১ ডলার। ড্যানফোর্থ ও লরেন্স এভিনিউ ইস্টের বাড়িটি তালিকাভুক্তির এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে ১২ লাখ ডলারে বিক্রি হয়েছিল।
১৮ সন্ডারস টরন্টোর একমাত্র সরু বাড়ি নয়। ট্রিনিটি-বেলউডস নেবারহুডের মাত্র ১৫ ফুট চওড়া একটি বাড়ির দাম চাওয়া হয়েছিল প্রায় ৩৪ লাখ ডলার। দাম কমিয়ে পুনরায় তালিকাভুক্ত করার প্রায় দুই মাস পর প্রায় ২৯ লাখ ডলারে বিক্রি হয়েছিল বাড়িটি।
২০২২ সালের আগস্টে লিটল পর্তুগালে ১০ ফুটেরও কম চওড়া একটি বাড়ির ২০ লাখ ডলার দাম চেয়ে বিক্রির জন্য তোলা হয়েছিল।