১৯৭৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর জাপান রেড আর্মি ১৫৬ জন আরোহী এবং ১৪জন ক্রুসহ একটি বিমান ছিনতাই করে ঢাকা এয়ারপোর্টে অবতরণ করে। মুক্তিপণ হিসেবে দাবি করে ৬ মিলিয়ন ডলার এবং কারাগারে আটক ৯ রেড আর্মি সদস্যের মুক্তি। সবাইকে অবাক করে দিয়ে তৎকালীন মন্ত্রী, এয়ার ভাইস মার্শাল এজি মাহমুদের বিচক্ষণতা ও কূটনীতিক দূরদর্শিতায় এই জিম্মি নাটকের রক্তপাতহীন সমাপ্তি ঘটে।
এরই প্রেক্ষিতে জাপান সরকার তাকে রয়েল এ্যাওয়ার্ড ‘দ্য অর্ডার অব দ্য রাইজিং সান, গোল্ড অ্যান্ড সিলভার স্টার’ প্রদান করেন। এই ঘটনার বিবরণ দিয়ে জাপানের তৎকালীন পরিবহন প্রতিমন্ত্রী হাজিমে ইশিই একটি বইও লেখেন এবং এজি মাহমুদের কর্মদক্ষতার ভুয়সী প্রশংসা করেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান। ছিলেন উপ-প্রধান সামরিক প্রশাসক। বিচারপতি সায়েম, জিয়াউর রহমান ও হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের মন্ত্রীপরিষদের প্রভাবশালী সদস্যও ছিলেন তিনি। বিমান ছিনতাই রহস্য, জিম্মি নাটকের অবসান, খুব কাছে থেকে দেখা বাংলাদেশের রাজনীতির অন্দরমহলের নানা বিষয় নিয়ে প্রথমবারের মতো মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।
কানাডার প্রথম চব্বিশ ঘন্টার বাংলা টেলিভিশন চ্যানেল এনআরবি টিভির মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। অকপটে জানিয়েছেন অনেক অজানা তথ্য। সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করেন কানাডার সর্বাধিক পঠিত বাংলা সংবাদপত্র সাপ্তাহিক বাংলামেইল সম্পাদক ও এনআরবি টিভির সিইও শহিদুল ইসলাম মিন্টু। টানা দুই ঘন্টার এই দীর্ঘ সাক্ষাৎকারটি প্রচার হবে আগামী ২৪ জুন শনিবার রাত ১০ টায়। এই আয়োজনে সার্বিকভাবে সহায়তা করেছেন কমিউনিটির জনপ্রিয় মুখ, বিশিষ্ট রিয়েলটর, ভিআইপি ব্রোকার আব্দুল মান্নান।