
“ষষ্ঠ বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যাল টরোন্টো ” সত্যিই আমার সারাজীবন এর শ্রেষ্ঠতম মঞ্চের একটি ছিল। পুরো হল ঠাসা উৎসুক দর্শক। দর্শক না বলে শ্রোতা বলতেই ভালো লাগে।আসার আগে থেকেই শুনছিলাম একাধিকবার যে টরোন্টো আমার জন্য অপেক্ষা করছে। অথচ এর আগে আরও পাঁচবার এখানে এসেছি, একটা মঞ্চেরও ভালো স্মৃতি নাই।
আমি একটু উৎকণ্ঠিতও ছিলাম। কিন্তু মঞ্চে গিয়ে আমি অভিভূত! পিন পতন নিরবতা এবং মুগ্ধ মুখগুলো দেখে গায়ে কাঁটা দিচ্ছিল। মনে হচ্ছিল এই নিষিদ্ধ আমি ফুরিয়ে যাইনি।মন খুলে প্রাণ খুলে গাইলাম, আমাদের যন্ত্র জাদুকর ভাইয়েরা হাত খুঁলে বাজালেন। দর্শক সারির ছবি আমি কালেক্ট করতে পারিনি এই দু:খ।দুয়েকটা গানের ক্লীপ পেলে আমি দেবো ইনশাআল্লাহ। আর আমার মঞ্চ নতুন রঙে রাঙিয়ে দিলো ইত্তেলা আলী!
তাকে ভালোবেসে ডাকতেই মঞ্চে এসে আমার গানের সাথে নাচলো দারুণ মুদ্রায়,তাৎক্ষণিক! আমি ও সবাই ইত্তেলাতে মুগ্ধ ছিলাম কাল। ধন্যবাদ আয়োজক ভাইদের। অনেক ভালোবাসা শাওন ফারুককে, সে পুরোটা সময় আমার পাশে ছিল কন্যার মতো করে! নুরুন নাহার মিনি ভাবি আর আব্দুল আউয়াল ভাই তাদের বাসায় আমাদের দুজনকে এমন যত্ন করলেন যেন আমি তাদের আপন বড় বোন!
আর আমার যদি ক্ষমতা থাকতো তাহলে আমি এই অনুষ্ঠানের প্রধান আয়োজক শহিদুল ইসলাম মিন্টু ভাইকে কানাডার বেস্ট আয়োজকের পুরস্কার দিতাম! তার জন্য অনেক শুভকামনা রইলো।
সত্যিই, একজীবনে এতো ভালোবাসা!
ও আল্লাহ! কতই তুমি দিলা আমায় বিনা কারণে!