ইয়র্ক অঞ্চলে পিৎসা ডেলিভারির নামে প্রতারণা বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছে ইয়র্ক পুলিশ। এ অবস্থায় তারা বাসিন্দাদের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডে লেনদেনের সময় সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
পুলিশ বলছে, স্ক্যামাররা সাধারণত জোড়ায় জোড়ায় কাজ করে। একজন পিৎসার সরবরাহ আদেশদাতা হিসেবে ভুক্তভোগীর কাছে যায়। সে পিৎসা সরবরাহের আদেশ দিয়েছে বলে জানিয়ে বলে, সে সরবরাহকারীকে নগদ অর্থ দিতে চায়। কিন্তু ডেলিভারি ড্রাইভার সেজে দ্বিতীয় সন্দেহভাজন বলে, সে নগদ অর্থ গ্রহণ করতে পারছে না। এরপর প্রথম সন্দেহভাজন ভুক্তভোগীর কাছে সহায়তা চেয়ে থাকে এই বলে যে, ডেলিভারি ড্রাইভার কেবল ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে পিৎসার মূল্য নিতে চায়, নগদ অর্থে নয়। ভুক্তভোগীকে সে জানায় যে, তার কাছে কেবল নগদ অর্থ রয়েছে। ভুক্তভোগী যদি তার ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পিৎসার দাম পরিশোধ করে দেনর তাহলে তাকে এর বিনিময়ে সে নগদ অর্থ ভুক্তভোগীকে দেবে। ভুক্তভোগী এতে সম্মত হলে ক্রেতা হিসেবে প্রথম ব্যক্তি তাকে নগদ অর্থ দিয়ে দেয়। এরপর দ্বিতীয় সন্দেহভাজন ভুক্তভোগীর দিকে পয়েন্ট অব সেল টার্মিনাল তার দিকে এগিয়ে দেয়, যেটাতে পারসোনাল আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার (পিন) সংরক্ষিত হয়ে যায়। লেনদেন সম্পন্ন হলে একই রকম দেখতে অন্য একটি কার্ড ভক্তভোগীর হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়। সন্দেহভাজন ব্যক্তিরা এরপর ভুক্তভোগীর প্রকৃত কার্ড ও পিন ব্যবহার করে অর্থ তুলে নেয় বা অন্যান্য কেনাকাটা সেরে নেয়।
এ মাসের গোড়ার দিকেও এ ধরনের প্রতারণার একটি ঘটনা ঘটেছিল। ওই ঘটনায় এক নারী একজন ডোমিনো’স ডেলিভারি ড্রাইভারের মাধ্যমে ২ হাজার ৪০০ ডলার প্রতারণার শিকার হন বলে জানান। পুলিশ এ ধরনেরর প্রতারণার ব্যাপারে সতর্ক থাকার ও নিজেদের এ থেকে রক্ষা করতে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। অর্থাৎ, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডে লেনদেনের সময় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।