
ডোমিনো’স পিৎসা সরবরাহকারী গাড়িকে ঘিরে প্রতারণার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বাসিন্দাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ কর্মকর্তারা বলেছেন, ডোমিনো’স পিৎসার প্রতীকসহ গাঢ় রঙের একটি গাড়ি বড় বড় খুচরা বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানগুলোর পার্কিং লটে দেখা গেছে।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, একজন নারী সন্দেহভাজন গ্রাহক সেজে প্রতারণার শিকার ব্যক্তিদের কাছে যাচ্ছেন এবং ডেলিভারি ড্রাইভার নগদ অর্থ নিচ্ছে না জানিয়ে ক্রেডিট কার্ডে বিল পরিশোধের জন্য অনুরোধ করছেন। ভুক্তভোগীও সাধারণত এ কথায় আশ^স্ত হচ্ছেন। কারণ, ডেবিট কার্ডে বিল পরিশোধ করে দেওয়ার বিনিময়ে নগদ অর্থের প্রতিশ্রুতি পাচ্ছেন তিনি।
এরপর তারা পুরুষ প্রতারক ডেলিভারি ড্রাইভারের কাছে যাচ্ছেন। এরপর ভুক্তভোগী একটি পরিমার্জিত ডেবিট মেশিনে পিন নাম্বার দিচ্ছেন, যেখানে পিন নাম্বার ও ডেবিট কার্ডের তথ্য সংরক্ষিত হচ্ছে। লেনদেন সম্পন্ন হলে ভুক্তভোগীকে তার নিজের ডেবিট কার্ডের মতোই দেখতে একটি ব্যাংক কার্ড ফেরত দেওয়া হচ্ছে এবং ওই স্থান ত্যাগ করার আগে তিনি নগদ অর্থ গ্রহণ করছেন। যদিও সন্দেহভাজনের কাছে ভুক্তভোগীর ডেবিট কার্ডের তথ্য থেকে যাচ্ছে এবং যা ব্যবহার করে তিনি আরও কোনাকাটা করছেন বা অর্থ তুলে নিচ্ছেন।
তবে সন্দেহভাজনরা দেখতে কেমন সে ব্যাপারে কোনো তথ্য জানায়নি পুলিশ।
মার্চের শেষ দিকে মিসিসোগার এক নারী এ ধরনের প্রতারণার শিকার হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। টেন্থ লাইন ও ক্যাকটাস গেট এলাকায় একটি বাড়ির সামনে গাড়ি দাঁড় করানোর সময় এ ধরনের প্রতারণার শিকার হন তিনি এবং এর ফলে তার ২ হাজার ৪০০ ডলার খোয়া যায়।
৭ এপ্রিল সন্দেহভাজন দুই পুরুষের মাধ্যমে আরও এক নারীও একইভাবে প্রতারিত হন বলে জানিয়েছে পুলিশ। পার্পল রঙের একটি হোন্ডা এসইউভি চালিয়ে তারা নর্থ ইয়র্কের দিকে যাচ্ছিলেন। এ অবস্থায় টরন্টো পুলিশ বাসিন্দাদের তাদের কার্ড কারো কাছে না দেওয়ার অথবা পিন নাম্বার কারো সঙ্গে শেয়ার না করার আহাবান জানিয়েছে। কারণ, বেশিরভাগ ডেলিভারি সেবাতেই নগদ অর্থ গ্রহণ করা হয়ে থাকে। কেউ যদি আপনাকে অন্যভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেন তাহলে ধরে নেবেন সেটা প্রতারণা। কেউ যদি ডেবিট কার্ড জালিয়াতির খপ্পরে পড়ে থাকেন তাহলে অবিলম্বে তাদেরকে তাদের ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।