
জীবাশ্ম জ্বালানি প্রকল্পে অর্থায়ন করায় রয়্যাল ব্যাংক অব কানাডার (আরবিসি) বিরুদ্ধে শনিবার বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে উইনিপেগবাসী। কানাডাজুড়েই এই বিক্ষোভ হয় এবং একে আখ্যায়িত করা হয় ‘ফসিল ফুলস ডেজ’ নামে। এডমন্টন, টরন্টো, অটোয়া, হ্যালিফ্যাক্স এবং ভ্যানকুভারেও বিক্ষোভ হয়েছে।
উইনিপেগের বাসিন্দা এরিক রায়ে বলেন, উপকূলীয় গ্যালিঙ্ক পাইপলাইনের প্রধান তহবিলদাতা হচ্ছে আরবিসি। এসব অর্থদাতা না থাকলে পাইপলাইল অব্যাহত থাকতে পারবে না এবং গণহত্যা বন্ধে বাধ্য হবে তখন।
২০৫০ সালে নেট জিরোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আরবিসি তাদের অর্থায়নের কারণে কার্বন নিঃসরণ ২০৩০ সালের মধ্যে কমিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। তবে সমালোচকরা বলছেন, এই লক্ষ্যমাত্রা প্রয়োজন থেকে অনেক দূরে।
গত হেমন্তে ব্যাংকটি যখন এই দশকে তাদের লক্ষ্যমাত্রার কথা ঘোষণা করে তখন অনেকেই একে গ্রিনওয়াশিং বলে অভিযোগ করে। আদিবাসী নেতাদের কাছ থেকেও সমালোচনার শিকার হয় আরবিসি।
রায়ে বলেন, তিনি চান ফেডারেল সরকার ওয়েটসুয়েটেনের মাটি থেকে আরসিএমপি প্রত্যাহার করুক। সেই সঙ্গে আদিবাসীদের ভূমির ওপর দখলদারিত্বের অবসান ঘটাক। এই জমি আদিবাসীরা হাজার হাজার বছর ধরে অধিকারে রেখেছে। কিন্তু কানাডা যা যা সম্ভব সব কিছুই এই জমি থেকে উত্তোলন করছে। সেখানে কারা ছিল সে ব্যাপারে কোনো চিন্তাই তাদের মধ্যে নেই। শুরু থেকেই এই জমিকে ঘিরে যে অন্যায় হচ্ছে তার বিরুদ্ধে দেশের মানুষের রুখে দাঁড়ানো উচিত।
এসব সমালোচনার জবাবে আরবিসি বলেছে, জলবায়ু পরিবর্তন সবচেয়ে বড় বৈশি^ক চ্যালেঞ্জ। গ্রাহকদের তারা নিঃসরণ কমাতে সহায়তা করবে। সেই সঙ্গে বাজারে সবুজ সমাধান নিয়ে আসবে।