
সরকার জরুরি পদক্ষেপ না নিলে ২০২৫ সালের মধ্যে প্রদেশকে প্রতিবন্ধীদের উপযোগী করে গড়ে তোলার লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হতে পারে অন্টারিও। এমনটা উঠে এসেছে নতুন এক প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনে অ্যাকসেসিবিলিটি ফর অন্টারিয়ান্স উইথ ডিসঅ্যাবিলিটি অ্যাক্ট বাস্তবায়ন পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, মৌলিক নেতৃত্ব, জবাবদিহিতা ও উপাত্তের ঘাটতি ২০২৫ সালের লক্ষ্য অর্জনকে কঠিন করে তুলতে পারে। লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব নাও হতে পারে।
প্রতিবেদনের লেখক রিচ ডোনোভান লিখেছেন, প্রতিবন্ধীরা এখনো তাদের প্রতিদিনের জীবনযাপনে নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। তা সে নগরীগুলোর রাস্তায় চলাচলের ক্ষেত্রে হোক, চাকরির আবেদনের ক্ষেত্রে হোক কিংবা গণপরিবহনে ভ্রমণ বা সরকারি সেবাপ্রাপ্তির ক্ষেত্রেই হোক। প্রতিবন্ধী অন্টারিওবাসীদের সেবা প্রদানে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানগুলোয় পরিবর্তন আনা প্রয়োজন।
আইনটির সংসদীয় পর্যালোচনার জন্য ২০২২ সালের গোড়ার দিকে ডোনোভানকে নিয়োগ দেয় প্রদেশ। তিনি বলেন, ২০০৫ সালে আইনটি পাশ হওয়ার পর থেকে এ ব্যাপারে অগ্রগতি হয়েছে সামান্যই। সেবা, পণ্য, প্রযুক্তি, ভবন, অবকাঠামো, চাকরি, প্রক্রিয়া ও মনুষ্য ধারণার পদ্ধতিগত ত্রুটির কারণেই এমনটা হয়েছে।
প্রতিবন্ধী সম্প্রদায়ের সঙ্গে ব্যাপক পরামর্শের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। ডেনোভান প্রতিবেদনে প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ডের কাছে এই প্রশ্ন রেখেছেন, আপনি কী এটা নিয়ে ভাবিত?
অন্টারিওর অ্যাকসেসিবিলিটি আইন কানাডায় প্রথম। ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারির মধ্যে প্রদেশে সার্বজনীন প্রবেশ নিশ্চিতের লক্ষ্য উল্লেখ করা হয়েছে আইনে।
ডোনোভানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকার ২৯ লাখ প্রতিবন্ধীদের প্রতি দায়িত্ব পালনে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। এই প্রতিবন্ধীরা অন্টারিওর মোট জনসংখ্যার এক-পঞ্চমাংশ।
এর আগের পর্যালোচনাটি করেছিলেন সাবেক লেফটেন্যান্ট গভর্নর ডেভিড ওনলি ২০১৯ সালে। সেই পর্যালোচনায় বলা হয়েছিল, প্রতিটি ক্ষেত্রেই অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী বাসিন্দারা প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছেন। ওনলির কথারই প্রতিধ্বনি রয়েছে ডোনোভানের প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়েছে, জনমিতিক কোনো গ্রুপকেই এ ধরনের নেতিবাচক অভিজ্ঞতা, প্রতিবন্ধকতা ও বৈষম্যের মধ্য দিয়ে যেতে হয় না।
প্রতিবেদনের ব্যাপারে অন্টারিওর সিনিয়রস ও অ্যাকসেসিবিলিটি মন্ত্রণালয় বলেছে, ওনলির পর্যালোচনায় যেসব সুপারিশ এসেছিল সেগুলো বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নিয়েছে প্রদেশ।