
টিটিসিতে সহিংসতার ঘটনা বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে কিছু যাত্রী ট্রানজিট সিস্টেমের ‘রিল্যাক্সিং’ ব্র্যান্ডিং কৌশল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। প্রচারণার অংশ হিসেবে একটি বিজ্ঞাপনে একজনকে গাড়িতে ঘুমাতে দেখা যাচ্ছে। সেই সঙ্গে লেখা আছে, থামুন। টিটিসির সেবা নিন। আরামদায়ক ও সাশ্রয়ী বিকল্প।
বিজ্ঞাপনে ব্যবহৃত শব্দ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ। একজন রেডিট ব্যবহারকারী লিখেছেন, টিটিসি যা বলতে চাইছে এটা কি তা-ই?
বিজ্ঞাপনের পরিকল্পনাটি ২০২১ সালে করা হয় বলে জানান ট্রানজিট এজেন্সির মুখপাত্র। জ্যেষ্ঠ কমিউনিকেশন বিশেষজ্ঞ স্টুয়ার্ট গ্রিন এক বিবৃতিতে বলেন, এই বিজ্ঞাপনের পরিকল্পনা কয়েক মাস আগে এবং যাত্রী বাড়ানোর কৌশলের অংশ হিসেবে করা হয়।
বিজ্ঞাপনটি কতদিন চলবে? জানতে চাইলে গ্রিন বলেন, আগামী মাস পর্যন্ত অর্থ ব্যয় করে বিজ্ঞাপনটি চালানো হবে। কিন্তু আমরা আমাদের সিস্টেমে ছেড়ে দিতে পারি অথবা অবসরে নামিয়ে নিতে পারি। তবে এই মুহূর্তে বিজ্ঞাপনটি নামানো হচ্ছে না নিশ্চিত করেন গ্রিন।
গত ৯ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত পর্ষদ সভায় টিটিসির কর্মীরা বলেন, হামারির সময় টিটিসির যাত্রী ব্যাপক হ্রাস পায়। সেই সঙ্গে হ্রাস পায় রাজস্বও। যাত্রী ও রাজস্ব স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরাতে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সময় লাগছে।
টিটিসিতে সম্প্রতি সহিংসতার ঘটনাও লক্ষণীয় হারে বেড়ে গেছে। ২০ জানুয়ারির পর থেকে টিটিসির যানে দুইজন যাত্রী ছুরিকাহত হয়েছেন। সাবওয়েতে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়ার চেষ্টার ঘটনায় একজন গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কেউ একজন এক নারীর কাছ থেকে ছিনতাইয়ের চেষ্টা করলে তিনি সিঁড়ি থেকে পড়ে যান। একই সময়ের মধ্যে একদল যুবকের হাতে নিগৃহ হতে হয় এক টিটিসি কর্মীকে। আরেক কর্মীকে বিবি গান দিয়ে গুলি করা হয়। এছাড়া সিরিঞ্জ নিয়ে ডানডাস স্টেশনের মধ্য দিয়ে একদল কর্মীকে ধাওয়া করা হয়।