
ছুটি এমনিতেই চাপের এবং তানিয়া মারসিলের অবসর মেলাটা কঠিন। বিরল এই মূহুর্তগুলো এই মৌসুমে কাজে লাগানোর পরিবর্তে তিনি বলেন, এই সময়টা তিনি পার করছেন তার তিন শিশুর জন্য শেষ মুহূর্তে চাইল্ডকেয়ার সেন্টার খুঁজে।
গত সপ্তাহে যেসব সরকারি কর্মী অফিসে ফেরার আদেশ পেয়েছেন হ্যালিফ্যাক্সভিত্তিক এই কর্মীও তাদের একজন। মার্চের মধ্যে ফেডারেল কর্মীদের সপ্তাহে দুই থেকে তিনদিন কর্মক্ষেত্রে উপস্থিত হতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সশরীরে কর্মক্ষেত্রে ফেরার আগে কেবল মার্সিলকেই যে হন্যে হয়ে চাইল্ডকেয়ার সেবা খুঁজতে হচ্ছে তেমন নয়, আরও অনেককেই একই পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে।
মার্সিলের দুই সন্তান এলিমেন্টারি স্কুলের এবং তৃতীয় সন্তানটি প্রি-স্কুল শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, অটোয়া থেকে নদী বরাবর কুইবেকের গ্যাটিনোতে তিনি ও তার স্বামী সারাজীবন থেকেছেন। কিন্তু মহামারির সময় তার স্বামী হ্যালিফ্যাক্সে একটি চাকরির সুযোগ পান এবং তার সরকারি চাকরি পুরোপুরি রিমোট হয়ে যাওয়ায় তারা হ্যালিফ্যাক্সে চলে আসেন।
মার্সিল যে বিভাগে কাজ করেন তার একটি কার্যালয় হ্যালিফ্যাক্সেও আছে এবং নতুন বিধান অনুযায়ী সপ্তাহে দুইদিন সেখানে কাজ করার অনুমতি পেয়েছেন তিনি। কিন্তু স্কুলের আগে, স্কুলের সময় ও স্কুলের পরে সন্তানদের নিয়ে কি করবেন তা নিয়ে বিপত্তিতে আছেন।
মার্সিল বলছিলেন, একজন শিশুর জন্য সুযোগ পাওয়ার একটা সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু একই সুযোগ নিয়ে গত বছরও আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। যদিও কোনো জায়গা খালি ছিল না।
আরেকটি সমস্যায় মার্সিলকে পড়তে হচ্ছে এবং তা হলো অনেক চাইল্ডকেয়ারই পূর্ণাঙ্গ ফির বিনিময়ে পূর্ণকালীন সেবা দিয়ে থাকে। কিন্তু তার সপ্তাহে মাত্র দুইদিন সেবাটি প্রয়োজন। খ-কালীন সেবা দিচ্ছে এমন কোনো চাইল্ডকেয়ার প্রতিষ্ঠানের খোঁজ তার কাছে নেই।
কানাডিয়ান চাইল্ডকেয়ার ফেডারেশনের অন্তর্বর্তী প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্নি ফ্ল্যাহার্টি বলেন, কানাডার চাইল্ডকেয়ার সেন্টারগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। এগুলোকে অর্থায়নের জন্য একটি জাতীয় চাইল্ডকেয়ার কৌশল চালু আছে। কিন্তু চাহিদা এতো বেশি যে, খাতটির ওপর চাপ তৈরি হচ্ছে। ফেডারেল সরকারি কর্মীদের জন্য একটি জায়গা খুঁজে পাওয়া সত্যিই কঠিন। বাস্তবিক অর্থে পরিবারগুলোর জন্য যথেষ্ট চাইল্ডকেয়ার সুবিধা নেই।
আরেক সরকারি কর্মী অ্যালেকজান্দ্রান কোবেল বলেন, সরকারি চাকরি নেওয়ার সময় এ বছরের জানুয়ারিতে টেলিওয়ার্কিং চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছি। সেই থেকে দূর থেকেই কাজ করছেন তিনি। অফিসে ফেরার আদেশের কি প্রভাব তার ওপর পড়বে তা তার জানা নেই। অফিসে ফেরাটা যৌক্তিক। আমি আমার সহকর্মীদের দেখার জন্য মুখিয়ে আছি।