
চীনের কঠোর জিরো-কোভিড লকডাউনের ফলে দেশজুড়ে বিক্ষোভের জন্ম দিয়েছে, যা বিরল। অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কঠোর মহামারি নিয়মকানুনের ফলে কানাডায় বসবাসের জন্য আবেদনের সংখ্যা বাড়ছে।
কানাডার সরকারি উপাত্ত বলছে, চীন থেকে কানাডায় অভিবাসন উচ্চ হার ফিরে এসেছে এবং এ সংক্রান্ত আবেদনের সংখ্যা বাড়ছে।
ভ্যানকুভারের অভিবাসন আইনজীবী ও লারলি রোজেনবার্গের অংশীদার রায়ান রোজেনবার্গ বলেন, চীনা নাগরিকদের অভিবাসনের পেছনে নতুন প্রভাবক হিসেবে দেখা দিয়েছে কোভিড বিধিনিষেধ। কোভিড লকডাউন লোকজনকে হতাশ করেছে এবং চীনের নাগরিকরা ভাবতে শুরু করেছেন যে, চীন বোধহয় তাদের ও তাদের পরিবারের জন্য উপযুক্ত স্থান নয়।
২০ বছর ধরে এ শিল্পে কাজ করছেন রোজেনবার্গ। তিনি বলেন, এতোদিন চীনের নাগরিকদের কানাডায় অভিবাসনের প্রধান চালিকাশক্তি ছিল সন্তানদের উন্নত শিক্ষা, পরিচ্ছন্ন বায়ু এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা।
ইমিগ্রেশন, রিফিউজি অ্যান্ড সিটিজেনশিপ কানাডার অনলাইন পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কানাডার স্থায়ী বাসিন্দা হয়েছেন ৯ হাজার ৯২৫ জন। ২০২০ সালের একই সময়ে মহামারিকালে এ সংখ্যা ছিল মাত্র ২ হাজার ৯৮০। এছাড়া মহামারির আগে ২০১৯ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে কানাডায় স্থায়ী বাসিন্দা হয়েছিলেন ৮ হাজার ৬৯০ জন চীনা নাগরিক।
২০১৫ সালের পর প্রান্তিকভিত্তিতে চীনা নাগরিকদের কানাডার স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার হার সর্বোচ্চ। তবে ২০১৫ সালের আগে অভিবাসনের হার আরও বেশি ছিল কিনা তা নিশ্চিত করতে ইমিগ্রেশন কানাডার কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
চীনা নাগরিকদের কানাডায় অভিবাসী হওয়ার পেছনে আরেকটি বড় কারণ রাজনীতি। রোজেনবার্গ বলেন, প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের পুনর্নির্বাচন অনেকের মধ্যেই বিশেষ করে ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করেছে। নিজেদের ও পরিবারের সদস্যদের বসবাসের জন্য বিকল্প হিসেবে তারা এখন কানাডার দিকে তাকাচ্ছেন।