
ফুড ব্যাংকে চাহিদা কোভিড-পূর্ব সময়ের চেয়ে ৩৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ঋণের ব্যয় বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি মুদিপণ্য, গ্যাস ও বাড়ি ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় ফুড ব্যাংকে কানাডিয়ানদের পরিদর্শন বেড়েছে। সবকিছুর উচ্চ মূল্য তাদের জীবিকা নির্বাহ কঠিন করে তুলেছে।
অটোয়া ফুড ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বলেন, আমরা সত্যিই অনেক বেশি মানুষকে দেখতে পাচ্ছি। সংস্থাটি এখন খাদ্য বাবদ বছরে ৬০ লাখ কানাডিয়ান ডলার বা ৪৪ লাখ মার্কিন ডলার ব্যয় করছে। মহামারি-পূর্ববর্তী সময়ে যেখানে ব্যয় হতো ২০ লাখ কানাডিয়ান ডলার। এর কারণ খাদ্যের মূল্য বেড়ে যাওয়া। এ কারণে বিপুল সংখ্যক মানুষ বর্তমানে ফুড ব্যাংকে আসছে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও এটা পারফেক্ট স্টর্ম।
কানাডার মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ১ শতাংশ থেকে ৬ দশমিক ৯ শতাংশে নেমে এসেছে। কিন্তু খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে এবং জনগণের ওপর মূল্যচাপ তৈরি করছে। একই সময়ে ব্যাংক অব কানাডা গত সাত মাসে সুদের হার ৩৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়েছে, এটাই এখন পর্যন্ত এটাই সবচেয়ে বেশি সুদের হার বৃদ্ধির ঘটনা। মূল্যস্ফীতি ২ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে আনতেই সুদের হার বাড়িয়েছে ব্যাংক অব কানাডা।
এর ফলে কানাডার ভোক্তা ও ছোট ব্যবসা উভয়েই সংকুচিত হয়েছে। এ অবস্থায় রাজনীতিবিদ, বিভিন্ন ইউনিয়ন এমনকি কিছু অর্থনীতিবিদও
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতি সুদের হার বৃদ্ধির গতি শ্লথ করার অনুরোধ জানিয়েছেন। তবে ব্যাংক অব কানাডা সুদের হার বৃদ্ধির চূড়ার কাছাকাছি পৌঁছানোর ইঙ্গিত দিয়েছে। তব্ েএখনই যে শেষ হচ্ছে না সেটাও পরিস্কার করে জানিয়েছে। নতুন করে সুদের হার ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়েছে ব্যাংক অব কানাডা, যা ১৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
ব্যাংক অব কানাডার গভর্নর টিফ ম্যাকক্লেম এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বলেন, মূল্য স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা সহজ কাজ নয়। তবে লাগামহীম মূল্যস্ফীতি খারাপ পরিস্থিতি ডেকে আনবে। কানাডার বহু মানুষ যে ঋণের মধ্যে রয়েছে, সেটা আমি জানি। সুদের হার বৃদ্ধি যে তাদের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করবে, তাও জানি। প্রত্যেকেই ভীতির মধ্যে আছে।