দুই বছরের বিঘেœর পর শিশুদের স্কুলে পাঠাতে বাবা-মায়ের যে খরচ বেড়েছে তা পুষিয়ে নিতে শিশুপ্রতি ২০০ থেকে ২৫০ ডলার প্রদানের প্রস্তাব করেছেন অন্টারিওর শিক্ষামন্ত্রী স্টিফেন লেচি। সে অনুযায়ী ১৮ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য ২০০ ডলার চেয়ে আবেদন করতে পারছেন তারা। তবে ২১ বছর পর্যন্ত স্কুলগামী বয়সী কেউ থাকলে যাদের বিশেষ শিক্ষার প্রয়োজন তাদের ক্ষেত্রে ২৫০ ডলার চেয়ে আবেদন করা যাবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কোনো ধরনের বিঘœ ছাড়াই শিশুদের আমরা শ্রেণিকক্ষে রাখতে চাই। দুই বছর ধরে শিক্ষার যে ক্ষতি তা আমরা পুষিয়ে নিতে চাই। বিশেষ করে পঠন, লিখন ও গণিতে।
এই অর্থের জন্য ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। আবেদনটি করতে হবে ডিরেক্ট পেমেন্টস ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে। ৩৬ কোটি ৫০ ডলারের যে পরিকল্পনা এই অর্থ তারই অংশ। গত আগস্টে থ্রন স্পিচে এই ঘোষণা দিয়েছিল সরকার। যদিও এই থোক বরাদ্দ কীভাবে বিতরণ করা হবে তা ছিল অস্পষ্ট।
ফোর্ড সরকারের কাছ থেকে এবারই যে অভিভাবকরা অর্থ পাচ্ছেন তেমনটা নয়। গত বছর বাবা-মায়েরা শূন্য থেকে ১২ গ্রেডের শিক্ষার্থীপ্রতি ৪০০ ডলার করে পেয়েছেন। তবে যাদের বয়স ২১ বছরের নিচে এবং বিশেষ শিক্ষার প্রয়োজন তাদের জন্য বাবা-মায়েরা পেয়েছেন ৫০০ ডলার করে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মূল বিষয় অনেকটাই একই। কিন্তু এবারের লক্ষ্য হচ্ছে শিক্ষাক্ষতি কাটিয়ে উঠতে এসব শিশুকের সহায়তা করা।
এডুকেশন কোয়ালিটি অ্যান্ড অ্যাকাউন্টেবিলিটি অফিসের (ইকিউএও) ২০২১-২০২২ সালের উপাত্ত নিয়েও কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। এতে দেখা গেছে, গ্রেড ৬ এর অধিকাংশ শিক্ষার্থী গণিতে প্রাদেশিক যে মানদ- তা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। এই পরীক্ষায় পাস করেছে মাত্র ৪৭ শতাংশ শিক্ষার্থী। ২০১৯-২০২০ সালের ফলাফলের চেয়ে যা ৩ শতাংশ কম।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিশুরা শিক্ষায় বাধা পেলে, তারা শ্রেণিকক্ষে না থাকলে এবং শিক্ষক থেকে দূরে থাকলে ফলাফল খারাপ হওয়াটাই স্বাভাবিক।
গণিতে এই দুর্বলতা দূর করতে সরকার ‘ম্যাথ অ্যাকশন টিম’ মোতায়েন করছে। এছাড়া গ্রেড ৯ এ অনলাইন ম্যাথ কোর্সও চালু করা হচ্ছে। লেচি বলেন, স্কুলগুলো কিন্ডারগার্টেনের দ্বিতীয় বর্ষ থেকে গ্রেড ২ শিশুদের পঠনের অবস্থা কি তাও পরীক্ষা করে দেখবে। শ্রমশক্তির জন্য যে ধরনের দক্ষতা প্রয়োজন পাঠ্যক্রম সে অনুযায়ী আছে কিনা তাও নিয়মিত মূল্যায়ন শুরু করা হবে। পাশাপাশি গত এপ্রিলে শুরু হওয়া সরকারি তহবিলে পরিচালিত টিউটরিং প্রোগ্রামের আওতাও সম্প্রসারিত করা হবে।