
মূল্যস্ফীতির সঙ্গে বাসিন্দাদের খাপ খাইয়ে নিতে প্রদেশের পক্ষ নগদ অর্থ দেওয়া হলেও তাকে যথেষ্ট মনে করছেন না অধিকার কর্মীরা। তারা বলছেন, সবচেয়ে প্রয়োজনের সময় তাদেরকে সহায়তার সুযোগটা হাতছাড়া করেছে প্রদেশ।
নিউফাউন্ডল্যান্ডভিত্তিক অ্যান্টি-পভার্টি গ্রুপ এন্ড হোমলেসনেসের নির্বাহী পরিচালক ডগ পসন বলেন, প্রত্যেকটি ডলারই কাজের এবং এককালীন অর্র্থের যে ধরণ তাতে লোকজনের অব্যাহত চাহিদার বিষয়টি উপেক্ষিত হয়েছে। আমার কাছে একে অলস নীতি বলে মনে হয়েছে।
নিউফাউন্ডল্যান্ড ও ল্যাব্রাডর সরকার গত বছর যেসব ব্যক্তি এক লাখ ডলারের কম আয় করেছেন তাদের প্রত্যেককে ৫০০ ডলারের চেক দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। তবে যাদের আয় এক লাখ ২৫ হাজার ডলার তাদের অর্থের পরিমাণ কিছুটা কম হবে। একই কমসূচি নেওয়া হয়েছে কুইবেক ও সাস্কেচুয়ানেও।
এই উদ্যোগে প্রায় ২০ কোটি ডলার ব্যয় হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পসন বলেন, সেন্ট জোন্সের বিপুল সংখ্যক মানুষ যেখানে গৃহহীণ সেখানে তাদের জন্য টেকসই সহায়তা দিলে তা বেশি ভালো হতো। এই মানুষগুলো তাদের খাদ্য, মৌলিক চাহিদা পূরণ এবং পরিষেবা বিল পরিশোধ করতে পারছে না। পচুর অর্থ খরচ করা হচ্ছে, কিন্তু অর্থবহ কিছু হচ্ছে না।
নিউফাউন্ডলান্ড ও ল্যাব্রাডরের আর্থিক বিভাগ জানিয়েছে, মূল্যস্ফীতির কারণে বিপদে থাকা লোকদের জন্য যে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এটা সেগুলোর একটি।
অন্যান্য প্রদেশও একই ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। গত বছর যারা আয়কর বিবরণী সম্পন্ন করেছে তাদের প্রত্যেককে এককালীন ৫০০ ডলার করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সাস্কেচুয়ান। আর ম্যানিটোবা যেসব পরিবারের বার্ষিক আয় এক লাখ ৭৫ হাজার ডলারের ওপরে সেসব পরিবারের প্রথম সন্তানকে ২৫০ ডলার এবং ১৮ বছরের কম বয়সী বাকি সন্তানদের ২০০ ডলারের চেক প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে।
কুইবেক এ বছরের গোড়ার দিকে অধিকাংশ বাসিন্দাকে ৫০০ ডলারের চেক চেক দিয়েছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে ডিসেম্বরে দ্বিতীয় দফার অর্থ পরিশোধের পরিকল্পনা করছে কুইবেক সরকার। ২০২১ সালে যেসব বাসিন্দার আয় এক লাখ ডলারের কম ছিল তারা প্রত্যেকে ৪০০ ডলার এবং যাদের আয় ৫০ হাজার ডলারের কম তারা অতিরিক্ত আরও ২০০ ডলার করে পাচ্ছেন। এ বাবদ দ্বিতীয় দফায় কুইবেক সরকারের খরচ হবে ৩৫০ কোটি ডলার।