
টরন্টোভিত্তিক একটি প্রযুক্তি কোম্পানি ৪৮ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে অ্যারাইভক্যান অ্যাপ তৈরি করে দেখিয়ে দিয়েছে যে, ফেডারেল সরকার অ্যাপটির পেছনে কয়েক মিলিয়ন ডলার বেশি ব্যয় করেছে। টরন্টোভিত্তিক ট্রাইবালস্কেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শীতল জেটলি বলেন, ১০ লাখ ডলারেরও কম অর্থে তার কোম্পানি অ্যাপটি তৈরি করে দিতে পারতো, যা প্রকৃত বিনিয়োগের ভগ্নাংশমাত্র। সেখানে সরকার এতো অর্থ কীভাবে ব্যয় করলো?
কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে কানাডার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোতে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়ায় গতি আনতে ফেডারেল সরকার অ্যারাইভক্যান চালু করে। ভ্রমণকারীদের জন্য বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার বিধান তুলে নেওয়ায় অ্যারাইভক্যানের ব্যবহার এখন ঐচ্ছিক হয়ে পড়েছে।
জেটলির সহকর্মীরা সম্প্রতি অ্যাপটি ক্লোন করার উদ্দেশ্যে স্বেচ্ছায় হ্যাকাথনের আয়োজন করেন এবং সেখানে তারা লোকজনকে দেখিয়ে দেন কত কম সময়ে ও সস্তায় এটা তৈরি করা সম্ভব। সিবিএসএর অ্যাপটি তৈরিতে ২ কোটি ৯৫ লাখ ডলার ব্যয় হয়েছে বললেও গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্যয়ের পরিমাণ ৫ কোটি ৪০ লাখ ডলার।
যদিও সরকার সংখ্যাটিকে বিভ্রান্তিকর বলে জানিয়েছে। কারণ, অ্যারাইভক্যান ব্যয়িত অর্থের চেয়েও বেশি কিছুর প্রতিনিধিত্ব করছে।
মাউন্ট রয়্যালের এমপি অ্যান্থনি হাউজফাদার সিটিভি নিউজ টরন্টোকে বলেন, ৫ কোটি ৪০ লাখ ডলারের মধ্যে কন্টাক্ট ট্রেসিং ও প্রাইমারি ইন্সপেকশন কিয়স্কের মূল্যও অন্তর্ভুক্ত। সব অ্যাপ সমান নয়। অ্যারাইভক্যান কেবল তথ্য আদান-প্রদানের অ্যাপ নয়। এটা একটি নিরাপদ ট্রানজিশনাল টুল, যা ভ্যাকসিনেশনের সত্যতা যাচাইয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে।
ট্রাইবালস্কেলের মতোই একই উদ্দেশ্যে হ্যাকসাথনের আয়োজন করে টরন্টোভিত্তিক আরেক কোম্পানি লেজার টেকনোলজি। তাদের কোম্পানিতে একজনমাত্র কর্মী থাংকসগিভিংয়ের সপ্তাহে মূল অ্যাপটি তৈরি করেন। কোম্পানির তরফ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নতুন প্রযুক্তি তৈরিতে কানাডার কেন সর্বোত্তম অবকাঠামো, দল, সম্পদ, টুল ও ফ্রেমওয়ার্ক নেই, সে ব্যাপারে আলোচনার সুযোগ করে দিয়েছে এটি। ভুল যে হয়েছে সেটা আমরা জানি এবং উন্নতির একমাত্র উপায় হলো ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া।
অ্যারাইভক্যানের কারিগরী ত্রুটি, স্বাস্থ মানদ- অনুযায়ী সেকেলে এবং সীমান্তকর্মীদের জন্য অর্থনৈতিকভাবে প্রতিবন্ধক হওয়ায় কয়েক মাস ধরেই এ নিয়ে সমালোচনা হচ্ছিল। জেটলি বলেন, ডিজিটাল ইস্যুতে কানাডিয়ান সরকার যাতে টেক কমিউনিটিকে কাজে লাগায় এই প্রকল্প সেক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী সুযোগ এনে দিয়েছে। আমরা এটা বিনামুল্যে করে দেবো। চলুন প্রযুক্তির ব্যাপারে সরকারকে দক্ষ হতে আমরা সহায়তা করি।