ব্রেইন ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করা পাঁচ বছর বয়সী অন্টারিওর বালকের একটাই অনুরোধ। সে দৈত্য দেখতে চায়। সেপ্টেম্বরের গোড়ার দিকে এক হাজার অপরিচিত মানুষ তার সে ইচ্ছা পূরণও করেছে।
আলেক্স নামে পরিচিত আলেক্সান্দ্রোসের এপেনডাইমোমা নামে ব্রেইন টিউমার ধরা পড়ে যখন তার বয়স মাত্র সাড়ে দশ মাস। এপেনডাইমোমাস একটি বিরল টিউমার যেটির উৎপত্তি সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেম ব্রেইন অথবা স্পাইনাল কর্ড থেকে। আলেক্সের ক্ষেত্রে টিউমারটি হয়েছে তার ব্রেইনে।
আলেক্সের মা কাইরা হারডাকিস বলেন, তার রোগটি শনাক্ত হওয়ার পরের পাঁচ বছর ছিল খুবই চ্যালেঞ্জিং। প্রথম দুই বছর ছিল খুবই কঠিন সময়। কারণ, আমরা শুধু হাসপাতালে যাচ্ছিলাম এবং আসছিলাম। এখন ক্যান্সারের কারণে অন্যান্য সমস্যাও দেখা দিচ্ছে।
সেপ্টেম্বরের গোড়ার দিকে চিকিৎসকরা হারডাকিস পরিবারকে বিপর্যয়কর সংবাদটি দেন। আলেক্সির চিকিৎসা কাজ করছে না এবং তার ক্যান্সার টার্মিনাল পর্যায়ে চলে গেছে। চিকিৎসকরা জানান, তার সন্তানের সামনে আর মাত্র কয়েক সপ্তাহ সময় আছে। অথবা কয়েক দিন।
হারডাকিস বলেন, সে ভালো নেই। প্রতিদিনই তার অবস্থা একটু একটু করে খারাপ হচ্ছে।
পারিবারিক বন্ধু পলা জোনাকিস খবরটি শোনার পর ১১ সেপ্টেম্বর আলেক্সকে দেখতে যান। তিনি বলেন, আলেক্স দৈত্য দেখার খুব ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। আমরা আলেক্সকে নায়াগ্রার হন্টেড হাউজে সময় সময় নিয়ে গেছি। সে সত্যিই সেখানে যেতে চায়। কিন্তু সংবাদটি শোনার পর অতোদূর ভ্রমণের সামর্থ তার ছিল না।
এরপর অ্যান্ডারসনের মাথায় বুদ্ধিটি আসে। আলেক্স যদি দৈত্য দেখতে নায়াগ্রায় যেতে না পারে তাহলে দৈত্যদের তার কাছে নিয়ে আসা হবে। এরপর তিনি স্থায়ী একটি ফেসবুক গ্রুপে প্রতিবেশীদের প্রতি আহ্বান জানান এবং হলোয়ান প্যারেডের মাত্র ৪৮ ঘণ্টা পর তারা হারডাকিসের হ্যাল্টিন স্ট্রিটের বাসার সামনে হাজির হয়। শেষ পর্যন্ত এক হাজার উইচ, উইজার্ড, ওয়ারউলভস, ঘোষ্ট ও স্কেলেটন এসে হাজির হয়। এটা দেখে আলেক্স ও তার বাবা-মা বাকরুদ্ধ হয়ে যায়।
হারডাকিস বলেন, এই বিকালটা তিনি কখনোই ভুলতে পারবেন না। আলেক্স খুবই খুশি হয়েছে। এই স্মৃতিটা আমরা চিরকাল মনে রাখবো।
এদিকে গোফান্ডমির মাধ্যমে অ্যান্ডারসন ৬০ হাজার ডলার সংগ্রহ করেছেন। এই আলেক্সের চিকিৎসা ও তার পরিবারের সহায়তায় ব্যয় করা হবে।