
শিয়া ম্যাকনিস রান্না করতে ভালোবাসতেন। কিন্তু পণ্যের উচ্চমূল্য পিএইচডির এই শিক্ষার্থীকে মৌলিক খাদ্যেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে।
হ্যালিফ্যাক্সের সেইন্ট মেরি’স ইউনিভার্সিটির এই শিক্ষার্থী বলেন, আমার কাছে থাকা ডলার দিয়ে কীভাবে পুষ্টির জোগান পাবো সেটাই এখন মূল্য লক্ষ্য। ছাড়ে কোনো কিছু বিক্রি হচ্ছে কিনা সে ব্যাপারে আমাকে অনেক ভাবতে হয়। আনন্দ ও পরিতৃপ্ত বিদায় নিয়েছে।
কানাডায় খাদ্য মূল্যস্ফীতি এখনো উচ্চ এবং গত চার দশকের মধ্যে খাদ্যের দাম সবচেয়ে দ্রুত বেড়েছে। আগস্টে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে এলেও মুদি দোকান থেকে খাদ্যপণ্য ক্রয়ে খরচ বেড়েছে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ৮ শতাংশ। ১৯৮১ সাল থেকে এটাই খাদ্যপণ্যের সবচেয়ে দ্রুত মূল্যবৃদ্ধি। মুদি দোকানোর সব কোণার পণ্যের দামই প্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনকি আগে যেসব পণ্য সস্তা ছিল, সেগুলোর দামও এখন বেড়ে গেছে। উদাহরণ হিসেবে, ব্যয় সাশ্রয়ী হিসেবে বিবেচিত হিমায়িত ও শুকনা সবজির দামও আগস্টে এক বছর আগের একই মাসের তুলনায় ১৪ দশমিক ১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আর তাজা সবজির দাম বেড়েছে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ৩ শতাংশ।
একই চিত্র মাংসের দামেরও। টিডি ইকোনমিকসের পরিচালক জেমস অরল্যান্ডো বলেন, কয়েক মাস আগে যখন গরু ও শুকুরের মাংসের দাম বাড়ছিল তখন আপনি বিকল্প হিসেবে মুরগির মাংস বেছে নিতে পারতেন। এখন এর বিপরীতটা দেখা যাচ্ছে। গরু ও শুকুরের মাংসের দাম কমতে দেখা গেলেও মুরগির মাংসের দাম বাড়ছে।
কিছু মৌলিক খাদ্যের দামও উল্লেখযোগ্য বেড়েছে। আগস্টে ময়দার দাম বেড়েছে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৩ দশমিক ৫ শতাংশ। এছাড়া পাস্তার দাম বেড়েছে ২০ দশমিক ৭, রুটির ১৭ দশমিক ৬, ডিমের ১০ দশমিক ৯, তাজা ফলের ১৩ দশমিক ২ এবং তেলের ২৭ দশমিক ৭ শতাংশ। এমনকি আলুর দামও দুই অংকের ঘরে বেড়েছে।
অনেকদিন ধরে স্থায়ী এই মূল্যবৃদ্ধি বানাডিয়ানদের কেনাকাটার অভ্যাসে পরিবর্তন আনতে বাধ্য করছে, যাতে করে কিছু অর্থ বাঁচানো যায়। নতুন এক সমীক্ষায় এমনটাই বলা হয়েছে। সমীক্ষায় দেখা গেছে, কানাডিয়ান ভোক্তারা এখন ছাড়ের দোকানে পণ্য ক্রয়ে বেশি আগ্রহী হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে কম দামি ব্র্যান্ড থেকে পণ্য ক্রয়ের দিকেও ঝুঁকছেন তারা।