
টরন্টোতে আগস্টে বাড়ি বিক্রি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। তবে গত জুলাইয়ের তুলনায় ১৫ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছে টরন্টো রিজিয়নাল রিয়েল এস্টেট বোর্ড (টিআরআরইবি)। গত শীতের তুলনায় বাড়ির দাম কমে আসায় সুযোগটি কাজে লাগাতে ক্রেতারা আবাসন বাজারে আসতে থাকায় জুলাইয়ের তুলনায় আগস্টে বাড়ি বিক্রি বেড়েছে।
বোর্ডের তরফ থেকে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের আগস্টে টরন্টোতে বাড়ি বিক্রি হয়েছে মোট ৫ হাজার ৬২৭টি। জুলাইয়ে বাড়ি বিক্রি হয়েছিল যেখানে সাকুল্যে ৪ হাজার ৯০০টি।
বিএমও ক্যাপিটাল মার্কেটের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ রবার্ট কাভসিস বলেন, আগস্টে বাড়ি বিক্রি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৪ শতাংশ কমলেও এ হার পূর্ববর্তী চার মাসের তুলনায় কম। তারপরও আমরা এমন পর্যায়ে রয়েছি, যা কেবল কোভিড-১৯ মহামারির কারণে মন্দা ও ২০০৯ সালের আর্থিক মন্দার সময় দেখা গিয়েছিল।
এমন এক সময় উপাত্তটি সামনে এল যখন গত বছরের শুরুর দিকের উত্তপ্ত অবস্থা থেকে বাজার অনেকটাই শীতল হয়েছে। সুদের ও আবাসন ঋণের হার বৃদ্ধি বাড়ির বিক্রি কমিয়ে দিয়েছে, যার প্রভাব পড়েছে দামের ওপর। এছাড়া মূল্যযুদ্ধও কমে গেছে এবং সম্ভাব্য ক্রেতারা আরও মূল্য হ্রাসের আশায় বাজার থেকে দূরে রয়েছেন।
আগস্টে বাড়ির মূল্য সূচক গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮ দশমিক ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সব ধরনের বাড়ির গড় মূল্য দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে ১০ লাখ ৭৯ হাজার ৫০০ ডলারে পৌঁছেছে। যদিও জুলাইয়ের তুলনায় আগস্টে সূচকটি কম ছিল।
মৌসুমি সমন্বয়ের পর আগস্টে টরন্টোতে বাড়ির গড় বিক্রয় মূল্য ছিল ১১ লাখ ৩০ হাজার ৪৬৩ ডলার, জুলাইয়ের তুলনায় যা ২ শতাংশ বেশি। তবে গত ১২ মাসের যে সময়ে দাম সর্বোচ্চে পৌঁছেছিল তার তুলনায় ১২ শতাংশ কম। ওই সময়ে বাড়ির দাম ছিল ১২ লাখ ৮৫ হাজার ১২৯ ডলার।
টিআরআরইবি বলছে, গড় মূল্য বৃদ্ধি ও মূল্য সূচকের পতন এই ইঙ্গিতই দিচ্ছে যে, আগস্টে বিক্রিত বাড়ির বড় অংশ ছিল উচ্চমূল্যের।
আগস্টে বিক্রির জন্য নতুন করে তালিকাভুক্ত হয় ১০ হাজার ৫৩৭টি বাড়ি। ২০২১ সালের একই সময়ে সংখ্যাটি ছিল যেখানে ১০ হাজার ৬১৫।
কাভসিস বলেন, নতুন তালিকাভুক্তি দ্রুত হারে বাড়ছে না। ২০১০ সালের পর গত আগস্টে সংখ্যাটি ছিল সর্বনিম্ন।
পার্কিনসন বলেন, ব্যাংক অব কানাডা জুলাইয়ে সুদের হার পুরো ১ শতাংশীয় পয়েন্ট বাড়িয়েছে। এতে করে কানাডায় ঋণের ব্যয় বেড়েছে। নতুন এ বাস্তবতা ক্রেতাদের স্বস্তিজনক অবস্থানে নিয়ে যাচ্ছে।
তবে ক্রয় ক্ষমতা কমিয়ে দেওয়ায় অনেকেই আবার সুদের হার বৃদ্ধিতে হতাশা প্রকাশ করেছেন। পার্কিনসন বলেন, হয় তারা বাজার থেকে ছিটকে পড়েছে অথবা তারা চুপচাপ রয়েছে।