নতুন মুন রকেট উৎক্ষেপ বাতিল করার সিদ্ধান্তকে হতাশাজনক বলে মন্তব্য করেছেন কানাডিয়ান জ্যোতির্বিদ ডেভিড সেইন্ট-জ্যাকস। তবে পরীক্ষামূলক ফ্লাইটের আগে আরেকটি ছিদ্র ধরা পড়ায় এ ছাড়া উপায় ছিল না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
আর্টেমিস ১ মিশনের আওতায় অভিযাত্রী ছাড়াই নাসা ওরিয়ন স্পেসক্র্যাফট ও স্পেস লঞ্চ সিস্টেম চাঁদে পাঠানোর কথা ছিল। কিন্তু রকেটে ছিদ্র দেখা দেওয়ায় উৎক্ষেপনের দ্বিতীয় চেষ্টাও বাতিল করতে হয়। তার আগে সোমবার টেস্ট ডামিসহ একটি ক্রু ক্যাপসুল পাঠানোর চেষ্টাও ব্যর্থ হয়ে যায়। ৫০ বছর চাঁদে এটাই প্রথম পরীক্ষামূলক রকেট পাঠানোর উদ্যোগ।
মন্ট্রিয়লে কানাডিয়ান স্পেস এজেন্সির সদরদপ্তর থেকে উৎক্ষেপন প্রত্যক্ষ করার কথা ছিল সেইন্ট-জ্যাকসের। তিনি বলেন, উৎক্ষেপন বাতিল হয়ে যাওয়াটা আমাকে হতাশ করেছে। তবে এটাই যে সঠিক সিদ্ধান্ত প্রক্যেশলীরা তা জানেন। এটাই সঠিক কাজ। উৎক্ষেপন নিয়ে তাড়াহুড়ো করার কোনো দরকার নেই। আবার কবে নাসা রকেট উৎক্ষেপনের চেষ্টা করবে তাৎক্ষণিকভাবে তা জানানো হয়নি। তবে মঙ্গলবার পর্যন্ত একটা সুযোগ রয়েছে। এরপর কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত চাঁদ আকাশেল সঠিক স্থানে থাকবে না।
নাসা প্রশাসক বিল নেলসন বলেছেন, রকেটটি যদি মেরামতের জন্য হ্যাঙ্গারে নেওয়া হয় তাহলে অক্টোবর পর্যন্ত উৎক্ষেপ বন্ধ থাকবে।
নাসার নতুন করে চন্দ্র অভিযানে আর্টেমিস প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে ৪১০ কোটি ডলারের পরীক্ষামূলক ফ্লাইটের এটাই প্রথম পদক্ষেপ। গ্রিক পুরানে অ্যাপোলোর জমজ বোনের নামানুসারে এই কর্মসূচির নামকরণ করা হয়েছে।
সেইন্ট-জ্যাকস বলেন, পরীক্ষামূলক ফ্লাইটটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। কারণ, কানাডিয়ান একজন নভোচারী আর্টেমিস ২ এর অংশ হবেন বলে প্রত্য্যাশঅ করা হচ্ছে। ১৯৭২ সালে অ্যাপোলো ১৭ এর পর এটাই হচ্ছে প্রথম ক্রুসহ ফ্লাইট। চাঁদের চারপাশে ঘুরে ২০২৪ সালে এটির পৃথিবীতে ফিরে আসার কথা রয়েছে। এটি সফল হলে কানাডা হবে চাঁদের চারপাশে কাউকে পাঠানো দ্বিতীয় দেশ।