সপ্তাহে চারদিনের পরীক্ষামূলক অফিসে বড় ধরনের সাফল্য দেখছেন টরন্টোর একটি প্রযুক্তি কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। পরীক্ষায় অপ্রত্যাশিত ফলাফল পাওয়া গেছে বলেও দাবি করেন তিনি।
আলিডার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রস ওয়েনরাইট বলেন, সফটওয়্যার কোম্পানিটি জুনের শুরুতে এর ৫০০ কর্মীর জন্য সপ্তাহে চারদিনের অফিসসূচি চালু করে এবং দুই মাসের পরীক্ষা সম্প্রতি শেষ হয়েছে।
কোম্পানির কর্মকর্তারা বলছেন, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে কর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে অফিস সময় কমিয়ে আনার সিদ্দান্তটি আসে।
সিপি২৪কে ওয়েনরাইট বলেন, প্রারম্ভিক ফলাফল চমৎকার। কর্মীরা দারুণভাবে খুশি এবং তাদের কর্মজীবন ও ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে আরও ভারসাম্য এসেছে। চারদিনে অফিস চালু করতে গিয়ে কোম্পানি কর্মীদের বেতন কর্তন করেনি। শুক্রবারের ছুটি প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। এটা আমাদের কর্মীদের মধ্যে ভালো ভারসাম্য আনতে এবং তাদের মানসিক স্বাস্থ্যে বিনিয়োগে সহায়তার জন্য। কমিয়ে আনা সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করার ব্যাপারে কোম্পানি যে তাদের ওপর আস্থা রেখেছে, সেটা তারা অনুভব করতে পারছেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ সমাধার ব্যাপারে আমরা কর্মীদের ক্ষমতা দিয়েছি। এটা হচ্ছে আস্থার ক্ষমতা, যা সত্যিই কর্মীদের অনুপ্রাণিত করেছে। যেদিন আপনি আপনার কর্মীকে নিয়োগ দিচ্ছেন সেদিন থেকেই তাদের ওপর আস্থা রাখা উচিত এবং সেই আস্থা দীর্ঘদিন চালিয়ে নিতে হবে।
ওয়েনরাইট বলেন, কোম্পানি আগামী দুই সপ্তাহ ফলাফল পর্যালোচনা করবে এবং আশা করছে কোম্পানির বেনিফিট প্যাকেজের অংশ হিসেবে এটা স্থায়ী রূপ পাবে। কোম্পানিগুলো যখন কর্মী সংকটে হিমশিম খাচ্ছে ঠিক সেই সময় কর্মীদের ধরে রাখার ক্ষেত্রে বিরাট প্রভাব ফেলেছে এই পরীক্ষা। কোনো ধরনের দ্বিধা ছাড়াই কোম্পানিগুলোকে আমি পরীক্ষাটি করে দেখার আহ্বান জানাবো। আমরা আটটি শুক্রবার দেখেছি। এটা বড় কোনো প্রতিশ্রুতি নয়। এটাই সঠিক কাজ।
এদিকে চারদিনের কর্মদিবস নিয়ে ব্রিটেনে চলমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা মাঝামাঝি অবস্থানে পৌঁছানোর পথে রয়েছে। এর পেছনে থাকা সংগঠনগুলো বলছে, লোকজনের এতে আরও ভালো থাকছে। ৪ ডে উইক গ্লোবাল এবং ক্যামব্রিজ, বোস্টন কলেজ ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশীদারিত্বে চলমান এই পরীক্ষায় ৭০টি ভিন্ন ভিন্ন কোম্পানির প্রায় ৩ হাজার ৩০০ কর্মী অংশ নিচ্ছেন। অংশগ্রহণকারী কোম্পানিগুলো তাদের স্বাভাবিক কর্মঘণ্টার মাত্র ৮০ শতাংশ ব্যবহার করছে এবং বেতন ও উৎপাদনশীলতায় কোনো পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছে না। পরীক্ষামূলক কাজটি জুনে শুরু হয় এবং নভেম্বর পর্যন্ত চলবে।