কোভিড-১৯ মহামারির পরবর্তী ঢেউয়ের আগেই বড় ধরনের ভ্যাকসিনেশন বুস্টার ক্যাম্পেইন শুরু করতে যাচ্ছে কুইবেক সরকার। প্রদেশের প্রিমিয়ার ফ্রাসোয়াঁ লেগু সম্প্রতি এ ঘোষণা দিয়েছেন। শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে ফিরলে এবং লোকজন বেশি সময় ইনডোরে কাটানো শুরু করলে কোভিড-১৯ মহামারির আরেকটি ঢেউ আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
১৮ বছরের বেশি বয়সী কুইবেকের সবাই বুস্টার ডোজের জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে পারবেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ক্রিশ্চিয়ান দুবে এবং জনস্বাস্থ্য পরিচালক ডা. লুক বয়লোকে পাশে নিয়ে কুইবেক সিটিতে এ কথা বলেন লেগু। তিনি বলেন, হেমন্ত আসছে। এর অর্থ হলো শিক্ষার্থীরা স্কুলে ফিরবেন, লোকজন ছুটি শেষে ঘরে ফিরবেন, আরও বেশি সামাজিক যোগাযোগ হবে এবং সংক্রমণও বাড়বে। তাই বড় ধরনের ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইনের জন্য এটাই সবচেয়ে ভালো সময়, যা আমরা আগেও করেছি। কুইবেকের কোনো বাসিন্দার সর্বশেষ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নেওয়ার পর পাঁচ মাস অতিবাহিত হলে তিনি বুস্টার ডোজ নেওয়ার যোগ্য হবেন। সর্বশেষ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার পর তিন মাস অতিবাহিত হলেও বুস্টার ডোজ নেওয়া যাবে।
দুবে বলেন, প্রতি সপ্তাহে ৩ লাখ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়ার সক্ষমতা কুইবেকের রয়েছে। তবে কুইবেকের লোকজনের মধ্যে বুস্টার ডোজ নেওয়ার জন্য তাড়াহুড়া নেই বলে স্বীকার করেন তিনি।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, পাঁচ বছর ও তার বেশি বয়সী মাত্র ৫৬ শতাংশ কুইবেকবাসী এখন পর্যন্ত বুস্টার ডোজ নিয়েছেন। দুবের ভাষায়, এর কারণ অনেক মানুষ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছে। এ কারণে তাদের অনেকের মধ্যেই বুস্টার ডোজ নেওয়ার আগ্রহ নেই।
নতুন ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন ও সংক্রমণের নতুন ঢেউ নিয়ে উদ্বেগ সত্ত্বেও নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপের কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। বয়লো বলেন, স্কুলে বর্তমানে যে বিধিনিষেধ আরোপিত আছে তা-ই যথেষ্ট।
শ্রেণিকক্ষে বায়ু পরিশোধন যন্ত্র স্থাপনের বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, বিকল্পটি আমরা বিবেচনা করে দেখছি। তবে আমরা এর সুপারিশ করছি না। কেউ যদি এটা করতে চায়, তাহলে আমরা তাতে সাহায্য করবো। তাই বলে আমরা এর সুপারিশ করছি না।
কুইবেকে কোভিড-১৯ এ নতুন করে আরও ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ২৯ জনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। রোগটি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ১ হাজার ৯৬৪ন জন। এর মধ্যে ৫০ জন আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন।