গ্রেটার টরন্টো এরিয়াতে (জিটিএ) বসবাসকারী প্রতি ১০ জন মিলেনিয়ালের মধ্যে ছয়জনই একদিন বাড়ি বাড়ির মালিক হওয়ার আকাক্সক্ষা ছাড়েননি। তবে এই আকাক্সক্ষা পূরণে জিটিএ ছাড়তে হবে বলে বিশ^াস করেন অনেকে। কেউ কেউ আবার বাড়ির মালিক হতে দূরে কাজ খুঁজছেন। লেজার পরিচালিত রয়্যাল লাপেজের নতুন এক সমীক্ষায় এমনটাই উঠে এসেছে।
সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ২৬ তেকে ৪১ বছর বয়সী ৫৯ শতাংশ জিটিএ বাসিন্দার এখনও বিশ্বাস, একদিন তারা বাড়ির মালিক হবেন। এর মধ্যে মাত্র ২২ শতাংশ তাদের বর্তমান শহরে বাড়ি কিনতে পারবেন বলে মনে করেন। বাড়ির মালিক হওয়ার স্বপ্ন পূরণে আরও ৩৭ শতাংশ স্থান পরিবর্তন করতে হবে বলে বিশ^াস করেন। এ ব্যাপারে কোনো কিছু বলতে চাননি সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ১৩ শতাংশ। জাতীয়ভাবে সমীক্ষায় অংশ নেওয়া মাত্র ৩১ শতাংশ মিলেনিয়াল বাড়ির মালিক হতে স্থানান্তরিত হবে বলে মনে করেন।
দূর থেকে কাজ করার স্বার্থে নিয়োগদাতা পরিবর্তন করতে চান জিটিএতে বসবাসকারী ৪৯ শতাংশ বাসিন্দা। তবে জাতীয়ভাবে এ হার কিছুটা কম, শতাংশের মতো।
ব্যাংক অব কানাডার সুদের হার বৃদ্ধির ফলে জিটিএতে বাড়ির দাম সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ভালোই কমেছে। মূল্যস্ফীতির রাম টানতে সুদের হার বাড়াচ্ছে কানাডার কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর আগে এক প্রতিবেদনে আরবিসি এই বার্তা দেয় যে, জিটিএতে বাড়ির মূল্য সংশোধন চলছে এবং এটা হতে পারে গত ৫০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্য সংশোধন। তারপরও গ্রেটার টরন্টো এরিয়াতে বাড়ির যে দাম তাতে খুব কম লোকেরই এ সামর্থ রয়েছে। জুলাইয়ে জিটিএতে বাড়ির বেঞ্চমার্ক দাম ছিল ১০ লাখ ৭৪ হাজার ৭৫৪ ডলার।
লাপেজের সমীক্ষা অনুযায়ী, জিটিএতে বসবাসকারী ৫৬ শতাংশ মিলেনিয়াল এরই মধ্যে বাড়ির মালিক হয়েছেন। হারটি কানাডাজুড়ে এই বয়সশ্রেণির মধ্যে বাড়ির মালিকানার যে হার তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। কানাডাব্যাপী এই বয়সশ্রেণির মধ্যে বাড়ির মালিকানার হার ৫৭ শতাংশ।
আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে যারা বাড়ি কেনার পরিকল্পনা করছেন তাদের ৪৭ শতাংশ বলেছেন, নিজেদের শহরেই কিনবেন তারা। অন্যদিকে ৪৫ শতাংশ অন্য কোথাও বাড়ি কিনতে চান। মজার ব্যাপার হলো জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্দির বিষয়টি বাদ দিলে জিটিএতেই থেকে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন এখানকার প্রায় ৮০ শতাংশ বাসিন্দা।