এলওটি পোলিশ এয়ারলাইন্সের টরন্টোগামী একটি ফ্লাইটের এক যাত্রীর সহিংস আচরণ ও মাঝ আকাশে উড়োজাহাজের দরজা খোলার চেষ্টা করলে সেটি আইসল্যান্ডের নিয়ে যাওয়া হয়। ফ্লাইটটি পোল্যান্ডের ওয়ারশ থেকে রাতে টরন্টোর উদ্দেশে যাত্রা করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অপ্রীতিকর এ ঘটনা ঘটে।
এয়ারলাইনটির একজন মুখপাত্র সিটিভি নিউজ টরন্টোকে বলেন, একজন কানাডিয়ান যাত্রীকে ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট অ্যালকোহল সরবরাহে অস্বীকৃতি জানালে কথা কাটাকাটির সূত্রপাত হয়। ওই যাত্রী এরপর অ্যাফট গ্যালারির দিকে যান এবং ক্রু সদস্যদের উদ্দেশ্য করে চিৎকার করতে থাকেন।
এলওটি পোলিশ এয়ারলাইন্সের প্রেস অফিসার ক্রিসটফ মকজুলস্কি সিটিভি নিউজ টরন্টোকে বলেন, ওই যাত্রী একজন কেবিন ক্রুকে মারতে উদ্যত হয়েছিলেন। কিন্তু অন্য ক্রুরা গ্যালারির দিকে দৌড়ে এসে তাকে নিবৃত করেন। ওই যাত্রী এতোটাই আগ্রাসী হয়ে গিয়েছিলেন যে, তাকে শান্ত করতে পাঁচজন যাত্রীকে এগিয়ে আসতে হয়। কিন্তু এক পর্যায়ে তিনি দৌড়ে দরজার দিকে যান এবং মাঝ আকাশে দরজা খোলার চেষ্টা করেন। এরপর পাইলট উড়োজাহাজটি আইসল্যান্ডের রেকজাভিকে অবতরণ করানোর সিদ্ধান্ত নেন। ওই যাত্রীকে শেষ পর্যন্ত তার আসনে বসানো হয়।
উড়োজাহাজটি রেকজাভিক বিমানবন্দরে অবতরণ করলে পুলিশ ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে।
ওই যাত্রীর কাছাকাছি বসা আরেক যাত্রী সিটিভি নিউজ টরন্টোকে বলেন, উড়োজাহাজের পেছন থেকে আসা আওয়াজ শুনেই বুঝতে পারি যে, কিছু একটা হয়েছে। উড়োজাহাজের পেছনে ক্রুদের সঙ্গে মারামারি করতে থাকেন ওই যাত্রী। এটা চলতেই থাকে। ফ্লাইট অ্যাটেন্ডেন্টদের লক্ষ্য করে পানির বোতল ছুড়তে থাকলে লোকজন তাকে নিবৃত করার চেষ্টা করেন। অন্য যাত্রীদের উদ্দেশে থুতুও নিক্ষেপ করেন ওই যাত্রী। উড়োজাহাজটি আইসল্যান্ডে অবতরণের পর তিনি শান্ত হন এবং পরবর্তীতে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
এয়ারলাইন্সটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ক্রু স্বল্পতার কারণে উড়োজাহাজটি রেকজাভিক থেকে ওয়ারশতে ফেরত আসে। শনিবারের টরন্টো ফ্লাইট ধরার আগে সব যাত্রীর জন্য হোটেলে রুমের ব্যবস্থা করা হয়।
ওই ঘটনায় কেউ শারীরিক আঘাত পাননি বলে নিশ্চিত করেছে এলওটি পোলিশ এয়ারলাইন্স। কিন্তু তাদের কেবিন ক্রুরা সত্যিই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।