টরন্টোর এয়ারবিএনবিকে ৪ হাজার ৫০০ ডলারের পরিশোধের পরও নিউজিল্যান্ডের এক দম্পতিকে মাঝরাতে উচ্ছেদ করেছে পুলিশ। এক ব্যক্তি ইউনিটটির প্রতি নিজের দাবির পক্ষে প্রমাণপত্র দেখানোয় এ পদক্ষেপ নেয় পুলিশ।
দুই শয়নকক্ষের লাক্সারি কন্ডোর বিজ্ঞাপন দেখে সৈয়দা ফারহানা শরীফ ও শরীফ মাসুদুল হক দম্পতি এক মাসের জন্য অ্যাপার্টমেন্টটি ভাড়া করেন। এটির অবস্থান ফ্রন্ট স্ট্রিটের সিএন টাওয়ারের কাছে।
মাসুদুল হক সিটিভি নিউজ টরন্টোকে বলেন, এটা লাক্সারির ধারেকাছেও নয়। এটা দেখতে ভালো নয় এবং একেবারেই মেরামত করা হয় না।
এক মাসের পর্যটনের জন্য টরন্টোতে আসা পর্যটকরা দুই সপ্তাহ অতিবাহিত করেছেন। এ অবস্থায় বুধবার রাত ১টার দিকে অপ্রত্যাশিতভাবে অপরিচিত একজনকে দরজায় কড়া নাড়তে শোনেন। হক বলেন, আমাদের চলে যেতে হবে বলে জানিয়ে দেন ওই ব্যক্তি। এতে সত্যিই আমি অবাক হয়ে যায়।
মাসুদুল হকের তথ্য অনুযায়ী, ওই ব্যক্তি নিজেকে অ্যাপার্টমেন্টের আইনত ভাড়াটিয়া বলে দাবি করেন। সিটিভি নিউজ টরন্টো ওই দম্পতিকে পাঠানো এয়ারবিএনবির নিশ্চয়তা পত্র দেখেছে। তাতে ৫ জুলাই থেকে ২ আগস্ট পর্যন্ত অ্যাপার্টমেন্টের ভাড়া পরিশোধেল কথা উল্লেখ করা আছে।
প্রথম দিকে হক ও তার স্ত্রী অ্যাপার্টমেন্টতে ছাড়তে অস্বীকৃতি জানান। এরপর ওই ব্যক্তি পুলিশ ডাকেন। হক বলেন, ওই ব্যক্তি পুলিশ ডাকলে পুলিশ এসে বলে, অ্যাপার্টমেন্টটি যে ওই ব্যক্তির নামেই ভাড়া দেওয়া হয়েছে কাগজপত্র দেখে তারা সে ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছে। পুলিশ এরপর অ্যাপার্টমেন্ট ছাড়ার জন্য আমাদেরকে ৩০ মিনিট সময় দেয়। আমরা কোথায় যাবো, সে ব্যাপারে পুলিশের কোনো ভানা ছিল না। তারা শুধু চেয়েছিল, আমরা যেনো বের হয়ে যাই।
পুলিশের সঙ্গে তর্কে না গিয়ে জিনিসপত্র গুছিয়ে ভবনের লবির দিকে যান তারা। এয়ারবিএনবির কারও সঙ্গে কথা বলার জন্য দুই ঘণন্টা তারা অপেক্ষা করেন। তারা কিছুই করেনি। শুধূ বলেছে, তারা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবে। এই দম্পতি ওই রাতে থাকার জন্য আরেকটি অ্যাপার্টমেন্ট পান, যার জন্য তাদেরকে গুনতে হয় ৫৮০ ডলার।
সিটিভি নিউজ টরন্টোকে দেওয়া এক বিবৃতিতে টরন্টো পুলিশ বলেছে, অযাচিত একজন অতিথি একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে উঠেছেন, এমন খবর পেয়ে তারা সেখানে যায়। একজন ব্যক্তি অ্যাপার্টমেন্টে পৌঁঁছে অপরিচিত দুই ব্যক্তিকে দেখতে পান। এরপর ওই দম্পতি জিনিসপত্র গুছিয়ে অ্যাপার্টমেন্ট ত্যাগ করেন।
তবে বৃহস্পতিবার এয়ারবিএনবির কাছ থেকে বার্তা পেয়েছেন বলে জানান মাসুদুল হক। তারা অর্থ ফেরত দেবে বলে জানালেও কী কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটলো সে ব্যাপারে কোনো উত্তর দিতে পারেনি তারা।