কেন্দ্রীয় মেন্টাল হেলথ ক্রাইসিস লাইনের প্রতিশ্রুতি কানাডাকে অবশ্যই বাস্তবায়ন করতে হবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। যুক্তরাষ্ট্রও একই ধরনের ব্যবস্থা চালু করার পরিপ্রেক্ষিতে এ মন্তব্য করেন তারা।
মার্কিন কর্তৃপক্ষ গত শনিবার নতুন ৯৮৮ মেন্টাল হেলথ হটলাইন চালু করেছে। হটলাইনটি পুরোপুরি চালু হলে বাসিন্দাদের মধ্যে আত্মহত্যার চিন্তা আসলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীদের পরিবর্তে তারা সহজেই প্রশিক্ষিত মানসিক স্বাস্থ্য পরামর্শকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন।
কানাডাতেও একই রকম ব্যবস্থা চালু দাবি জানিয়ে আসছেন মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা সংস্থাগুলো। আত্মহত্যা প্রতিরোধে তিন অংকের হটলাইন নাম্বার চালুর প্রস্তাবে হাউজ অব কমন্স ২০২০ সালে সর্বসম্মত সিদ্ধান্তও দেয়।
ইয়ুথ মেন্টাল হেলথ কানাডার নির্বাহী পরিচালক শেরিল বসওয়েল বলেন, জরুরি এই মানসিক স্বাস্থ্য সেবাটি স্থাপনে কানাডার উচিৎ দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া। অন্য দেশের ভালো চর্চাচগুলো আমাদের গ্রহণ করা প্রয়োজন। এমনকি আমরা যা করছি তার চেয়েও ভালো কিছুর জন্য এর চেয়েও বেশি দূর যাওয়া প্রয়োজন। আশা করি, কানাডায় ৯৮৮ চালু করতে বছরের পর বছর সময় লাগবে না।
টক সুইসাইড কানাডার চিফ মেডিকেল অফিসার ও টরন্টোর সেন্টার অ্যাডিকশন অ্যান্ড মেন্টাল হেলথের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ড. অ্যালিসন ক্রফোর্ড বলেন, উদ্যোগটি আত্মহত্যা প্রতিরোধ যে গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হয়েছে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে সংকটে থাকা ব্যক্তিদের কাছে বার্তাটি গুরুত্বপূর্ণ করে তুলবে। সেই সঙ্গে কানাডিয়ানদের জন্য জরুরি সহায়তা প্রাপ্তিও সহজ করে তুলবে।
ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার কনজার্ভেটিভ এমপি টড ডোহার্টি বলেন, ইস্যুটিতে সরকারের নিষ্ক্রিয়তা লজ্জাজনক। ২০২০ সালে কেন্দ্রিয় হটলাইন ব্যবস্থা চালুর প্রস্তাব পাশে সফল ভূমিকা রাখেন তিনি।
এক বিবৃতিতে ডোহার্টি বলেন, তৃণমূল ও জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য সংস্থা, সারাদেশের মিউনিসিপালিটি ও পার্লামেন্টের সর্বসম্মত সমর্থন পাওয়ার পরও জীবন রক্ষাকারী উদ্যোগটি কানাডিয়ানদের কাছে এখনও অধরা। এর অবস্থা কী তাও অজানা।
হেলথ কানাডার একজন মুখপাত্র বলেন, কীভাবে নম্বরটি চালু করা যায় কানাডিয়ান রেডিও-টেলিভিশন অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন্স কমিশন তা মূল্যায়ন করে দেখছে। বছরের শেষ দিকে এ ব্যাপারে একটি সিদ্ধান্ত পাওেয়া যাবে বলে বিভাগটি আশা করছে।