
কোভিড-১৯ মহামারির কারণে দুই বছর বিঘেœর পর শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে ফেরায় সহায়তার পরিকল্পনা করছে অন্টারিও সরকার। পরিকল্পনায় প্রাথমিকভাবে শিক্ষার্থীদের পুরোপুরি স্কুলে ফেরার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। যদিও প্রোগ্রেসিভ কনজার্ভেটিভ পার্টি বাড়িতে বসে শিক্ষার সুযোগও রাখবে বলে জানিয়েছে।
বলা হয়েছে, সঠিক সময়ে শিক্ষার্থীদের সশরীরে পাঠদান এবং খেলাধুলা, ক্লাব ও ফিল্ড ট্রিপ দিয়ে শুরু হবে। এর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নেই।
সরকার সারা বছরজুড়ে সশরীরে পাঠদান কীভাবে অব্যাহত রাখবে বিশেষ করে কোভিড-১৯ এর আরেকটি ঢেউ দেখা দিলে, সে সম্পর্কে নতুন কিছু প্রকাশ করেছে সরকার। সেক্ষেত্রে ভেন্টিলেশন উন্নতকরণ, হেপা ফিল্টার ইউনিট এবং শিক্ষক ও কর্মীদের র্যাপিড টেস্টের ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি অনলাইন পাঠ গ্রহণের যে ব্যয় তা পুষিয়ে নিতে তহবিলের কথাও বলেছে সরকার।
এই পদক্ষেপগুলো ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। অন্টারিও জনস্বাস্থ্য বিভাগের চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. কিয়েরান মুর জুলাইয়ের গোড়ার দিকে বলেছিলেন, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্কুল ও নির্বাচিত কিছু কর্মক্ষেত্রে র্যাপিড টেস্ট অব্যাহত রাখা হবে।
পরিকল্পনায় বাড়তি টিউটরিং, নতুন স্কুল প্রতিষ্ঠায় তহবিল ও মানসিক স্বাস্থ্য সেবার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী স্টিফেন লেচি বলেন, আরেকটি কোভিড-১৯ ঢেউ আসলেও শিশুদের স্কুলে ধরে রাখার ব্যাপারে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শিশুদের বিদ্যালয়ে রাখা আমাদের দরকার।
লেচির প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, পাঠ্যক্রম বহির্ভুত কর্মকা- চালু থাকা নির্ভর করবে স্কুল বোর্ড ও শিক্ষকদের ওপর। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা, গান ও অধিকতর অ্যাকাডেমিক প্রোগ্রামে তার সময় দিয়ে থাকেন স্ব্চেছাভিত্তিতে। তবে আমার বিশ^াস শিক্ষা ইউনিয়নের সঙ্গে একটি চুক্তি হবে, যা স্কুলের স্বাভাবিক কর্মকা- চালুর সুযোগ করে দেবে।
এদিকে শিক্ষাকর্মীদের অত্যাবশ্যকীয় সেবার স্বীকৃতি দিতে কবে নাগাদ আইন আনা হবে সে ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলেন নি শিক্ষামন্ত্রী। এর ফলে ধর্মঘটের মতো কাজ করা প্রতিরোধ করবে।