বুধবার, এপ্রিল ২৪, ২০২৪
7.9 C
Toronto

Latest Posts

১০০ লং-টার্ম কেয়ার হোমের সব কক্ষে এয়ার কন্ডিশনিংয়ের ব্যবস্থা নেই

- Advertisement -
একাধিক কারণে সব কক্ষে এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিট স্থাপনে বিলম্ব হয়েছে

সব কক্ষে এয়ার কন্ডিশনিং বসানোর যে সময়সীমা ছিল তার মধ্যে কাজটি করতে পারেনি অন্টারিওর প্রায় ১০০ লং-টার্ম কেয়ার হোম। লং-টার্ম কেয়ার সম্পর্কিত মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, প্রদেশের ৬২৭টি লং-টার্ম কেয়ার হোমের মধ্যে ৫২৯টিতে বুধবার পর্যন্ত পুরোপুরি এয়ার কন্ডিশনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অর্থাৎ, ৯৮টি কেয়ার হোম বাসিন্দাদের সব কক্ষে এখন পর্যন্ত এয়ার কন্ডিশনিংয়ের বন্দোবস্ত করতে পারেনি।

মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, একাধিক কারণে সব কক্ষে এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিট স্থাপনে বিলম্ব হয়েছে। বৈশি^ক সরবরাহ ব্যবস্থায় বিশৃঙ্খলা, কোভিড-১৯ মহামারি এবং দর্শনার্থী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার কারণে ঠিকাদাররা লং-টার্ম কেয়ার হোমগুলোতে প্রবেশ করতে পারেননি। কিছু ক্ষেত্রে বৈদ্যুতিক ব্যবস্থার আধুনিকায়ন অথবা ভবনের কাঠামোয় পরিবর্তন আনতে হয়েছে।

- Advertisement -

লং-টার্ম কেয়ার বিষয়ক গবেষক ভিভিয়ান স্টামাটোপোলোস বলেন, বাসিন্দাদের শয়নকক্ষে এয়ার কন্ডিশনিং ছাড়াই যত সংখ্যক লং-টার্ম কেয়ার হোম চলছে তা ভয়ানক। আদেশ পরিপালনে ও প্রক্রিয়ায় গতি আনতে কেয়ার হোমগুলোর ওপর সরকারের তরফ থেকে চাপ প্রয়োগের অভাব রয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের বক্তব্য, অন্টারিওর সব লং-টার্ম কেয়ার হোমে প্রতি ৪০ জনের জন্য অন্তত একটি করে নির্ধারিত স্থান আছে যেখানে এসির সাহায্যে ঠান্ডা করা হয়।

তবে এই স্থানগুলোতে বাসিন্দারা প্রতিদিন মাত্র কয়েক ঘণ্টা সময় কাটান বলে জানান স্টামাটোপোলোস। তিনি বলেন, এবং এটা কেবল সেইসব বাসিন্দাদের জন্য যাদের শারীরিক সক্ষমতা রয়েছে এবং বিছানায় আটকে থাকতে হয় না। ওই কমনরুমে যাওয়ার মতো শারীরিক সক্ষমতা তাদের রয়েছে।

লং-টার্ম কেয়ার সম্পর্কিত মন্ত্রণালয় তাদের ওয়েবসাইটে বলেছে, বয়স্ক ব্যক্তি, ক্রনিক রোগ আছে অথবা চলাফেরার ক্ষমতা সীমিত এবং যারা বিশেষ ধরনের ওষুধ সেবন করছেন তারা হিট ওয়েভে অসুস্থ্য হওয়ার বড় ঝুঁকিতে রয়েছেন। স্টামাটোপোলোস বলেন, কেয়ার হোমের এসব বাসিন্দা বিশেষ করে বয়স্কদের জন্য গরম-সংক্রান্ত অসুস্থ্যতা মারাত্মক হতে পারে এবং হয়েছে। এ থেকে মুত্যুও হতে পারে।

ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার করোনার সার্ভিসের সাম্প্রতিক ডেথ-প্যানেল প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত গ্রীষ্মে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির ওপরে উঠে গেলে ৬১৯ জনের মৃত্যু হয়। এই মৃত্যুর ৯৮ শতাংশই হয়েছে ইনডোরে। মৃতদের বেশিরভাগই বয়স্ক এবং এয়ার কন্ডিশনিং না থাকায় ভবনের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিলেন।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, মৃত ব্যক্তিদের ৬৭ শতাংশের বয়স ৭০ বছর বা তার বেশি এবং ৯০ শতাংশের বয়স কমপক্ষে ৬০ বছর।

- Advertisement -

Latest Posts

Don't Miss

Stay in touch

To be updated with all the latest news, offers and special announcements.