
নগরীর অর্থনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী বলে জানিয়েছেন মেয়র জন টরি। একইসঙ্গে তিনি এও স্বীকার করেন যে, কোভিড-১৯ মহামারি থেকে বেরিয়ে আসাটা হবে একটি চ্যালেঞ্জিং অর্থনৈতিক সময়কাল।
টরন্টো রিজিয়ন বোর্ড অব ট্রেডে বৃহস্পতিবার দেওয়া বক্তৃতায় জন টরি বলেন, নগরীর অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ও ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধি পাঁচটি স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। এগুলো হলো পুনর্গঠন ও আস্থা ফেরানো, নতুন ব্যবসা আকর্ষণ ও বিদ্যমান ব্যবসা সম্প্রসারণ, ছোট ব্যবসাকে গুরুত্ব দিয়ে ব্যবসাকে সহায়তা করা, প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা করা এবং ভবিষ্যৎ ও সম্ভাব্য পরিবর্তনের জন্য তৈরি থাকা। সংকট শেষে একটি আগামীকাল সব সময়ই থাকে। কিন্তু একে উজ্জ্বল করতে প্রয়োজন পরিকল্পনা।
মেয়র বলেন, চ্যালেঞ্জিং অর্থনৈতিক সময়কালে যে পুনরুদ্ধার হবে, আমি পুরোপুরি আত্মবিশ^াসী যে, টরন্টো আগের চেয়ে শক্তিশালী হয়ে ফিরবে। আগামী সপ্তাহ ও মাসগুলোতে সেদিকেই আমার মনোযোগ। সার্বক্ষণিক পরামর্শ পেতে যোগ্য নেতাদের একটি স্বেচ্ছাসেবক প্যানেল করবো। আমার বিশ^াস, দ্রুত গতির এই পরিবর্তন এবং এর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার কাজ অব্যাহত থাকবে। পরামর্শের জন্য আমরা এই গ্রুপটির ওপর নির্ভর করবো।
নগরীর অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলোর ব্যাপারে মেয়র বিস্তারিত না বললেও বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করতে হচ্ছে টরন্টোকে। রাজস্ব সংকোচনের কারণে সিটি কর্তৃপক্ষকে এখনও বাজেট ঘাটতি মোকাবেলা করতে হচ্ছে। টিটিসির যাত্রীও এখনও স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরেনি। যাত্রীর ধরন সম্পর্কে আগাম কোনো ধারণা করাও যাচ্ছে না। কারণ, অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সপ্তাহের অন্তত একটা সময়ে বাড়িতে বসে কাজের অনুমতি দিচ্ছে। সুদের হার বৃদ্ধি ও উচ্চ মূল্যস্ফীতি সামনের মাসগুলোতে নগরীর অর্থনীতির ওপর কি ধরনের প্রভাব ফেলে তাও এখনও পরিস্কার নয়।
জন টরি বলেন, গত দুই বছরে যারা অনেক কিছু হারিয়েছেন তারা যাতে প্রয়োজনীয় সহায়তা পান সেটা আমি নিশ্চিত করতে চাই। সেই সঙ্গে তারা শক্তিশালী পুনরুদ্ধার কার্যক্রমে তারা যেনো পুরোপুরি ও সন্তোষজনকভাবে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হন। ভবিষ্যতের কাজ নগরীর পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হয়ে আছে। প্যানেল ব্যাপারটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হিসেবে খতিয়ে দেখবে।